কক্সবাজারে প্রথম বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র, জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ২০ মেগাওয়াট
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৩, ১১:০০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কক্সবাজারে বেসরকারিভাবে উৎপাদিত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আগামী সেপ্টেম্বর হতে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে সক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
বুধবার কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল-পিএমখালী ও চৌফলদন্ডি ইউনিয়নে নদী তীরবর্তী এলাকায় নির্মিত প্রকল্পটি পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেছেন।
বুধবার বিকালেই এ প্রকল্পের বৈদ্যুতিক লাইন ১৩২ কেভির (এক লাখ ৩২ হাজার ভোল্ট) ঝিলংজা বিদ্যুৎ গ্রিড উপকেন্দ্রে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, কক্সবাজারের খুরুশকুলে দেশের প্রথম এবং বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রকল্পে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যাবে বলে আশা করছি।
বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মুকিত আলম খান বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাথে ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল-চৌফলদন্ডি-পিএমখালী ইউনিয়নে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
মুকিত খান আরও বলেন, বুধবার বিকাল হতে ১৩২ কেভির সঙ্গে প্রকল্পের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন সংযুক্তের কাজ শুরু হয়েছে। সঞ্চালন লাইনটি কক্সবাজার সদরের খরুশকুল-চৌফলদন্ডি- পিএমখালীর ওপর দিয়ে ঝিলংজা বিদ্যুৎ গ্রিড উপকেন্দ্রে সংযুক্ত হচ্ছে।
ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, বাতাস থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২২টি টারবাইন স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি টারবাইন-৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। ইতোমধ্যে ১০টি টারবাইন স্থাপন করা হয়েছে। ব্যাক আপের জন্য স্ট্যান্ডবাই হিসেবে দুটি টারবাইন বসানো হবে।
প্রকল্প স্থান পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, দেশের বিদ্যুতের চাহিদার জোগান দিতে সরকার বেসরকারি খাতে আরও নতুন করে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণে সুযোগ দিচ্ছে। কক্সবাজারের খুরুশকুলের এই প্রকল্প চলতি বছরের শেষের দিকে পূর্ণাঙ্গ ভাবে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। তবে প্রাথমিক পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযুক্ত হচ্ছে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যুৎ জ্বালানি মন্ত্রণালয়) সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিডিপিডি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসআরইডিএ-স্রেডা) সদস্য খন্দকার মো. আব্দুল হাই, ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি (বিডি) লিমিটেড ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম খান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর (পরিচালক) সাজিদ রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দে প্রমুখ।
