Logo
Logo
×

সারাদেশ

তরুণীর আগমনে ঘরে তালা মেরে পালিয়ে পালালেন মা-ভাইসহ প্রবাসী

Icon

দাগনভুঞা (ফেনী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৩, ০৮:০৬ পিএম

তরুণীর আগমনে ঘরে তালা মেরে পালিয়ে পালালেন মা-ভাইসহ প্রবাসী

ফেনীর দাগনভুঞার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ডেউয়ালিয়া গ্রামের বসুমুন্সির বাড়িতে বিয়ের দাবিতে এক প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী (১৯) অবস্থান করছেন। প্রেমিকার আগমনে প্রেমিক প্রবাসী আরিফ হোসেন ও তার মা ভাই ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছেন।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ আলীপুর গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে এক প্রবাসীর বিয়ে হয় বিগত পাঁচ মাস পূর্বে। বিয়ের আগে আরেক প্রবাসী আরিফের সঙ্গে ওই তরুণীর ফেসবুকে প্রেম হয়। বিয়ের পর বিষয়টি স্বামী জানতে পারলে পরিবারে কলহ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে একাধিকবার বৈঠক হলেও স্বামীর সংসারে ফিরে যায়নি ওই তরুণী। প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে তার তালাক হয়ে যায়। দেশে প্রবাসী প্রেমিক বাড়ি আসছে শুনে ১৭ মে তার বাড়িতে যান ওই তরুণী। প্রেমিক আরিফের বাড়ি গেলে মা কুলসুমের নেছা লাকী, আরিফ ও ছোট ভাই অমিত হাসানকে নিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়।

ভুক্তভোগী তরুণী জানান, আরিফ বিদেশে যাওয়ার আগে মোবাইলে আমার সম্পর্ক হয়। পরে আমার মা-বাবা আমাকে বিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি সৃষ্টি হয়। শেষপর্যন্ত স্বামীর সংসার ত্যাগ করে আরিফের বাড়িতে চলে আসি। সে যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমার আত্মহত্যার পথ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আমাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেওয়ার কারণে আগের স্বামীকে ত্যাগ করেছি।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় বসুমুন্সির বাড়ির একাধিক নারী-পুরুষ জানান, মানবিক কারণে অবস্থানরত প্রেমিকা নারীকে খাওয়ার জোগান দেওয়া হচ্ছে। প্রেমিক প্রবাসী আরিফ ডেউয়ালিয়া গ্রামের মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে। পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান ও ইউপি সদস্য মুজিবুল হক চৌধুরী বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান যুগান্তরকে জানান, প্রেমিক আরিফ তার পরিবার এবং প্রেমিকা ও তার মাকে ইউনিয়ন অফিসে এনে সুরাহার চেষ্টা করেছি। মেয়েটির সঙ্গে আরিফের ফোনালাপে প্রেম ও বিয়ে করার কথা ছিল সত্য বলে স্বীকার করেন। কিন্তু আরিফ গরিব বিধায় মেয়েটির মা আরিফের কাছে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। পাঁচ মাস আগে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দেয়। আরিফ এখন মেয়েটিকে বিয়ে করা সম্ভব নয় বলে জানান।

দাগনভুঞা থানার ওসি মো. হাসান ইমাম জানান, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেনী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম