সব সেন্টারে খবর নিয়েছি, আমার মা জিতে গেছে: জাহাঙ্গীর
গাজীপুর প্রতিনিধি
২৫ মে ২০২৩, ২১:৩৫:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন জয়লাভ করেছেন বলে দাবি করেছেন তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, ‘আমি সব সেন্টারে খবর নিয়েছি, আমার মা জিতে গেছে।’
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে জয়দেবপুরে বঙ্গতাজ মিলনায়তনে ফলাফল পরিবেশন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন জাহাঙ্গীর।
জাহাঙ্গীর বলেন, দিনে ভোট হয়েছে, দিনে রেজাল্ট নিয়ে যেতে চাই। আমি সব সেন্টারে খবর নিয়েছি; আমার মা জিতে গেছে। আমি রিটার্নিং অফিসারের অফিসে গিয়েছিলাম, কেন সে দেরি করতেছে? তাড়াতাড়ি যেন রেজাল্টটা দিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, আমার রেজাল্ট যদি সঠিকভাবে এখানে না দেওয়া হয়। তাদের কাছে যে রেজাল্ট শিট আছে সেটা যদি এখানে প্রয়োগ না করা হয় তাহলে তো বুঝতেই পারছেন এখানে কী হচ্ছে।
এদিন সন্ধ্যার পর থেকে বঙ্গতাজ মিলনায়তনে অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর।
তিনি অভিযোগ করেন, তৃতীয় পক্ষ একজন ব্যক্তি ‘রেজাল্ট ঘুরিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে। আমি গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের কাছে নিরাপেক্ষ রেজাল্টটা চাই। এবং কোনো কাউন্সিলর রেজাল্ট নিয়ে যেন কোনো ধরনের ছলছাতুরি না করে।
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আরও বলেন, আমার মা একজন নারী। নারী হচ্ছে আমার কাছে বেহেশত। সেই নারীকে যেন আমি সম্মানে রাখতে পারি। প্রত্যেকটি সন্তানকে বলছি, বাপ ভাইকে বলছি, নারীর ভোট নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি না খেলে। আমার মা এই শহরকে রক্ষা করবে বলেছে। আজকে সত্যের জয় হয়েছে, মিথ্যা ধ্বংস হয়েছে। সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এছাড়া ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪৫ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সবমিলিয়ে ৩৩১ জন রয়েছেন চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফয়সাল আহমেদ সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৩৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৮ জন।
নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ১০ হাজার ৯৭০ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ৬৯৯৪ জন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সব সেন্টারে খবর নিয়েছি, আমার মা জিতে গেছে: জাহাঙ্গীর
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন জয়লাভ করেছেন বলে দাবি করেছেন তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, ‘আমি সব সেন্টারে খবর নিয়েছি, আমার মা জিতে গেছে।’
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে জয়দেবপুরে বঙ্গতাজ মিলনায়তনে ফলাফল পরিবেশন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন জাহাঙ্গীর।
জাহাঙ্গীর বলেন, দিনে ভোট হয়েছে, দিনে রেজাল্ট নিয়ে যেতে চাই। আমি সব সেন্টারে খবর নিয়েছি; আমার মা জিতে গেছে। আমি রিটার্নিং অফিসারের অফিসে গিয়েছিলাম, কেন সে দেরি করতেছে? তাড়াতাড়ি যেন রেজাল্টটা দিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, আমার রেজাল্ট যদি সঠিকভাবে এখানে না দেওয়া হয়। তাদের কাছে যে রেজাল্ট শিট আছে সেটা যদি এখানে প্রয়োগ না করা হয় তাহলে তো বুঝতেই পারছেন এখানে কী হচ্ছে।
এদিন সন্ধ্যার পর থেকে বঙ্গতাজ মিলনায়তনে অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর।
তিনি অভিযোগ করেন, তৃতীয় পক্ষ একজন ব্যক্তি ‘রেজাল্ট ঘুরিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে। আমি গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের কাছে নিরাপেক্ষ রেজাল্টটা চাই। এবং কোনো কাউন্সিলর রেজাল্ট নিয়ে যেন কোনো ধরনের ছলছাতুরি না করে।
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আরও বলেন, আমার মা একজন নারী। নারী হচ্ছে আমার কাছে বেহেশত। সেই নারীকে যেন আমি সম্মানে রাখতে পারি। প্রত্যেকটি সন্তানকে বলছি, বাপ ভাইকে বলছি, নারীর ভোট নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি না খেলে। আমার মা এই শহরকে রক্ষা করবে বলেছে। আজকে সত্যের জয় হয়েছে, মিথ্যা ধ্বংস হয়েছে। সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এছাড়া ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪৫ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সবমিলিয়ে ৩৩১ জন রয়েছেন চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফয়সাল আহমেদ সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৩৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৮ জন।
নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ১০ হাজার ৯৭০ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ৬৯৯৪ জন।