প্রধানমন্ত্রী-গাজীপুরবাসীকে বিজয় উপহার দিলেন জায়েদা খাতুন
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৩, ১১:০৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জয়লাভের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টার সময় তার নিজ বাড়িতে জায়েদা খাতুন সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময়ে তার পাশে ছিলেন ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জায়েদা খাতুন বলেন, আমার এ বিজয় গাজীপুরবাসী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিলাম।
জায়েদা খাতুন বললেন, আমার ছেলেকে সত্য প্রমাণের জন্যই আমার ভোটে আসা। কিছু কিছু লোক আছে, যারা যা করেছে তাদের দিলেই (মনে) আছে। আমি গাজীপুরবাসীর জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টাই করবো। আমার কাজ সবাইকে দেখিয়ে দিব। আমি আজমত উল্লাহ খানকে জিজ্ঞেস করে ও মতামত নিয়েই কাজ করব। একজনের জায়গা দিয়ে রাস্তা যাবে, একজনের জায়গা দিয়ে ড্রেন যাবে কিন্তু দিতে চাইবে না। তাই সবাইকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব।
তিনি বলেন, আমার ছেলে ও আমার মিথ্যা কেউ পায় নাই। মিথ্যা অভিযোগ তোলার দুঃখেই, মিথ্যার প্রতিবাদে এই খানে আমার ভোটে আসা। গাজীপুরের মানুষকে এতো ভালবেসেছি এবার দেখি তারা আমারে কেমন ভালোবাসে। এই ভালোবাসা প্রমাণ করার জন্যই ভোটে আসা। আমি গাজীপুরবাসীর ভালোবাসা পেয়েছি।
তিনি বলেন, গাজীপুরবাসীর সবাইকে শুভেচ্ছা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও শুভেচ্ছা। আমি ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। ভোটটা আমার সুষ্ঠু হয়েছে। আমি আমার ভোটের হিসাব পেয়েছি। এই জন্য আমি আরও ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকে।
বিজয়টা আপনি কাকে উপহার দিবেন সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিজয় আমি গাজীপুরবাসীকে দিব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও দিব।
গাজীপুরবাসীর জন্য কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, গাজীপুরবাসীর ঋণ আমি শোধ করার চেষ্টা করবো। সাংবাদিকরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাই আপনাদের ঋণও আমি শোধ করবো। আপনারা যখন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তখন আমার সঙ্গে বা আশেপাশে কেউ ছিল না। আমি গাজীপুরের কাজ করেই ঋণ শোধ করব। কাজটা যেহেতু আমি একা করতে পারবো না। তাই আমার ছেলেকে নিয়ে করব, যে আগে থেকেই আমার পাশে ছিল। আমার ছেলে যে কাজগুলি বাকি ছিলে সেগুলি আমি শেষ করে দিব ইনশাআল্লাহ।
এ সময় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এইখানে জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমার তিনটি ট্রাম হয়ে গেছে। আমার মা আমার শিক্ষকের মতো। আমার সবকাজ সে দেখভাল করেছেন। এখন আমি মেয়র নেই কিন্তু আমার মা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। সেই হিসাবে মায়ের এবং এই শহরের যতো কাজ আছে আমি মায়ের সঙ্গে থেকে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় কাজগুলি করব। আজমত উল্লা খান আমার বড় ভাই। তার পরামর্শ এবং এখানে বড় যারা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আছে সবার সঙ্গে আলোচনা করে, পরামর্শ নিয়ে আধুনিক শহর গড়ে তোলার চেষ্টা করব।
তিনি আরও বলেন, এই শহরবাসী আমাদের বিশ্বাস করেছে। বড় মানুষরা ছিল না কিন্তু এই শহরের খেটে খাওয়া মানুষ আমাদের পাশে থেকে মাকে আমাকে সহযোগিতা করেছে। তাদের জন্য আমরা ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চাই। আমি এবং মা তার কাছে যাব। আমাদের শহর সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করার জন্য আমরা মা ছেলে প্রস্তুত আছি।
নির্বাচন কমিশন এবং সরকার বলেছে- সুন্দর একটি ভোট উপহার দিবে। সেটি আমরা তাদের কর্মের মধ্যে পেয়েছি। এজন্য সবাইকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
বৃহস্পতিবার দিনে ভোটগ্রহণ শেষে গভীর রাতে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তাতে দেখা যায়, জায়েদা খাতুন ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করেছেন। মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা খাতুন পেয়েছেন দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। ভোটের ফলাফলে তৃতীয় হওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট।
