কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুব মহিলা লীগ নেত্রীর সঙ্গে আ.লীগ নেতার কাণ্ড
মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ১০:৪৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নরসিংদীর মনোহরদীতে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুব মহিলা লীগের এক নেত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে জিল্লুর রহমান তুহিন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এছাড়া ওই নেত্রীর কিছু ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘনিষ্ঠজনদের কাছে জিল্লুর রহমান তুহিন ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসব ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী মনোহরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান তুহিন উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। তিনি মনোহরদী উপজেলা যুবলীগ ও কৃষক লীগের সাবেক সদস্য। আর ভুক্তভোগী নারী নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোহরদী, বেলাব ও শিবপুর থেকে সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। নির্বাচনী প্রচারের সুবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমান তুহিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে ওই নারীকে তার বাড়িতে দাওয়াত দেন তুহিন। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে তুহিন ছাড়া অন্য কাউকে দেখতে পাননি। এ সময় ওই নারীকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেন তুহিন।
এতে রাজি না হওয়ায় তার ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তুহিন। এ সময় সামাজিকভাবে সম্মানহানি না করার অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী নারী। পরে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তুহিন। এতেও রাজি না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীর ফেসবুক আইডি হ্যাক করে। পরে তার কিছু ছবি এডিটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ঘনিষ্ঠজনদের কাছে ছড়িয়ে দেয়। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মনোহরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান তুহিন বলেন, ওই নারী একজন পেশাদার পতিতা। ষড়যন্ত্রমূলক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের তদন্ত করলেই আসল সত্য বের হয়ে আসবে।
মনোহরদী থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
