Logo
Logo
×

সারাদেশ

চট্টগ্রামে ১৪ দলের গণসমাবেশ

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ আহত ১০

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ আহত ১০

চট্টগ্রামে ১৪ দলের গণসমাবেশে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক কাউন্সিলরসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন দুইপক্ষকে নিবৃত্ত করতে নেমে নাজেহাল হন। তার ওপরও চড়াও হয় অনেকে। সংঘর্ষের কারণে এক ঘণ্টা সমাবেশ বন্ধ থাকে।

বুধবার বিকালে নগরীর জেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশস্থলে এ ঘটনা ঘটে। আহত কাউন্সিলরের নাম ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি চসিকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক হিসেবে সম্প্রতি নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এরপর প্রথম এ সমাবেশের আয়োজন করেন তিনি। দেশের শান্তি স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বানচালে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ১৪ দল এ গণসমাবেশের আয়োজন করে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানান, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে কোতোয়ালি থানাধীন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে গণসমাবেশ শুরু হয়। বিকাল ৫টার দিকে সমাবেশের পেছনের দিকে হঠাৎ দুই পক্ষ হাতাহাতি ও তর্কতর্কিতে জড়ায়। এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি ও চসিক কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী ও একই কলেজের সাবেক জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চুর গ্রুপ স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এ সময় দুই গ্রুপে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মঞ্চ থেকে এসময় মাইক্রোফোনে গিয়ে কর্মীদের উদ্দেশ্যে সংঘর্ষ থামানোর ঘোষণা দেন খোরশেদ আলম সুজন। না হলে সমাবেশ থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য জড়িতদের শাসিয়ে দেন। এতেও নিবৃত্ত না হওয়ায় তিনি একপর্যায়ে মঞ্চ থেকে নেমে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।

এ সময় নেতাকর্মীদের অনেকেই তার ওপর চেয়ার নিয়ে চড়াও হন। একপক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছোড়াছুড়ির পাশাপাশি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

সমাবেশে উপস্থিত এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান তারেক যুগান্তরকে জানান, সংঘর্ষের সময় ইটের টুকরোর আঘাতে কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী আহত হন। তারা মাথা ফেটে যায়। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় আরও অন্তত ৮-১০ জন কমবেশি আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে আধঘণ্টারও বেশি সময় সমাবেশ বন্ধ থাকে। আবার সমাবেশ শুরু হলেও দ্রুত সময়ে শেষ হয়ে যায়।

এ সময় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, যারা সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হতে পারে না। বড় সংগঠনে পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে। তাই সংঘর্ষে জড়াতে পারে না। আমরা সবসময় এটা বলি। তবুও অনেকে উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে আসেন। ষড়যন্ত্র করেন। মিছিল নিয়ে এসে বিশৃঙ্খলা করেন। এরা অনুপ্রবেশকারী। যারা এগুলো করেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আরমান হোসাইন বলেন, ছাত্রলীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।

খোরশেদ আলম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ গণসমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ছাড়াও অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, শফিকুল ইসলাম ফারুক, শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ হাসনি, জহরলাল হাজারি ছাড়াও ১৪ দলীয় নেতাদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, জাসদের জসিম উদ্দিন, কমিউনিস্ট পার্টির শরীফ চৌহান, অমূল্য বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম