বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে মারপিট করে কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আরবি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রতিনিধি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে বাড়িতে আটকে রেখে মারধর. নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজে জোর করে সই নেওয়ার অভিযোগে খুলনার কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করেন ওই মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুরপূর্বক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজহারুল ইসলাম।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মে কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগবিধি অনুযায়ী ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। লিখিত পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে নিয়োগ দিতে চাপ সৃষ্টি করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। চাপ উপেক্ষা করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে অনড় থাকেন অধ্যাপক।
এতে ক্ষিপ্ত হন সভাপতি। পরে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল আহসানের গাড়িতে করে ফেরার পথে মাদ্রাসার সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদের বাড়ির সামনে পৌঁছলে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন তাদের গতিরোধ করেন। গাড়ি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ আনুমানিক ২০ হাজার টাকা ও তার হাতে থাকা ঘড়ি ছিনিয়ে নেন।
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে মারপিট করে নিয়োগের কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। রাজি না হলে তার নিকট থেকে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এ সময় তাদের মারধরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে পান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ওই মামলার আসামি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা মজিবার রহমান ও রাসেলকে জামিন নামঞ্জুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
