ছাদে নিয়ে প্রবাসীর মেয়েকে ধর্ষণ, মৃত্যুর আগে জানাল ধর্ষকের নাম
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ১০:০৪ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রবাসীর ১০ বছরের একটি শিশুকে টিকটকের কথা বলে ছাদে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে ধর্ষণকারীর নাম প্রকাশ করেছে সে। এ ঘটনায় র্যাব-৪ এর একটি দল ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নরসিংহপুর বাংলাবাজার এলাকার সিরাজ সরকারের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক সজলকে (২৩) আটক করে র্যাব।
আটকের বিষয়টি র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাত ৭টার দিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার মারিয়া আক্তার অনন্যা (১০) মারা যায়।
নিহত মারিয়া আক্তার অনন্যা রংপুর জেলার কামাল হোসেনের মেয়ে। সে আশুলিয়ার নরসিংহপুরের একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করত। সে তার বাবা ও বোনের সঙ্গে আশুলিয়ার নরসিংপুর বাংলাবাজার এলাকার শাজাহান সরকারের বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকত।
ধর্ষক নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার শফিকুল ইসলামের ছেলে সজল (২৩)। সে নরসিংপুর বাংলাবাজার এলাকায় একই বাড়িতে ভাড়া থাকত।
শিশুটির খালাতো ভাই পিয়াস বলেন, ধর্ষক সজল শিশুটিকে টিকটক করার কথা বলে বাড়ির ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে। অনন্যা প্রায় মাসখানেক যাবত অসুস্থ ছিল। মা বিদেশে থাকে। বড় বোন ও বাবার সঙ্গে থেকে একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত।
বড় বোনের বিয়ে হওয়ায় তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকেন। ধর্ষণের শিকার হয়ে কোনো অভিভাবক না থাকায় কারও কাছে কিছু বলতে পারনি সে। তাই তাকে কবিরাজ দেখিয়েছে। মেয়ের অসুস্থতার কথা শুনে মেয়েটির মা বিদেশ থেকে দেশে আসেন।
এর পরে অসুস্থতার ব্যাপারে সে মায়ের কাছে জানায়, পাশের বাসার সজল তাকে টিকটক করার জন্য বাসার ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করেছে । এর পর থেকে সে অসুস্থ। পরে তার মা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। শুক্রবার রাত ৭টার দিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে মারা যায়।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটির প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তারের রিপোর্ট অনুসারে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
