গ্রামীণ সড়ক সংস্কারে তাল ও খেজুর গাছ উজাড়
যুগান্তর প্রতিবেদন, পটুয়াখালী ও বাউফল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৩, ০৭:৫৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাউফলে গ্রামীণ জনপদের সড়ক সংস্কারের নামে অন্তত দেড় শতাধিক তালগাছ ও খেজুর গাছ উজাড়ের অভিযোগ উঠেছে। সড়ক সংস্কারের সভাপতি ও বাউফল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কামরুজ্জামান লিটুর বিরুদ্ধে অভিযোগ এমন অভিযোগ উঠেছে।
দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি কাবিখার আওতায় সড়ক সংস্কারের নামে অন্তত দেড় শতাধিক তাল গাছ ও খেজুর গাছ এক্সকেভেটর দ্বারা উপড়ে ফেলা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের সদর ইউনিয়নে প্রকাশ্যে গাছ নিধনের এমন চিত্র কোনো মহলের নজরে আসেনি। যদিও এসব প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন পটুয়াখালী বিভাগীয় ও উপকূলীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও সরেজমিন দেখা গেছে, বাউফল সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জৌতা গ্রামের আনছার বিশ্বাসের বাড়ি থেকে ইসমাইল ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেন উপজেলা পরিষদ। কাবিখা প্রকল্পের আওতায় এতে ১৪ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের ধরন অনুযায়ী স্থানীয় দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে সংস্কার হওয়ার কথা থাকলেও স্কেভেটর দ্বারা দিয়ে মাটি কেটে সড়ক সংস্কার করেছেন। আর এ সংস্কার করতে গিয়ে প্রকল্পের সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কামরুজ্জামান সড়কের ৯২টি বড় তালগাছ ও ৫১টি খেজুর গাছ স্কেভেটর দ্বারা উপড়ে ফেলেন। উপড়ে ফেলা গাছগুলো এখনো সড়কের দুই পাশে পরে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কাবিখা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান লিটু মোল্লা বলেন, কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তা সংস্কার করেছি। কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে রাস্তার মধ্যে থাকা কিছু তাল ও খেজুর গাছ কাটতে হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে পরিবেশবান্ধব তাল ও খেজুর গাছ কাটা যাবে না।
বাউফল প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজিব বিশ্বাস বলেন, আমার জানামতে সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা কামরুজ্জামান লিটু মোল্লা কাজটি করেছেন। তাকে রাস্তা সংস্কার করতে বলা হয়েছে, গাছ কাটতে বলা হয়নি।
বাউফল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও বায়েজেদুর রহমান বলেন, আমি কোনো গাছ কাটার অনুমতি দেইনি; আমি অনুমতি দিতেও পারি না। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেব।
পটুয়াখালী বিভাগীয় ও উপকূলীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, শুধু সরকারি নয়, মালিকানাধীন গাছ কাটতে হলেও অনুমতি নিতে হবে। আর সড়ক সংস্কারের নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অথবা দায়িত্ব এড়িয়ে গাছ নিধন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
