বিধবার সীমানাপ্রাচীর ভাঙার অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
পূবাইল ও পূর্বাচল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৩, ০৪:০৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার এসআই সাইফুলের বিরুদ্ধে বিধবার নির্মাণাধীন সীমানাপ্রাচীর লাথি মেরে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আইনবহির্ভূতভাবে আদালতের কোনো আদেশ ছাড়াই সীমানাপ্রাচীর ভেঙে দেওয়া ও কাজ বন্ধ করায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার বিধবার ছেলে আসাদুজ্জামান শিমুল নবনিযুক্ত গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (জিএমপি) মাহবুব আলমের বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন।
বিধবা লুৎফুন নাহার (৪৫) জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে পূবাইল মেট্রোপলিটন থানায় কর্মরত এসআই সাইফুল ইসলাম সীমানাপ্রাচীরটির দুটি অংশ ভেঙে দিয়ে প্রাচীর করতে নিষেধ করে চলে যান।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, বিধবার স্বামী মোশাররফ হোসেন ১২-১৩ বছর আগে আল মামুন জুয়েলের নিকট ৪ কাঠা জমি বিক্রি করলে ওখানে জুয়েল সীমানাপ্রাচীর করে ভেতরে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। গত বুধবার যখন বিধবা ও তার ছেলে আসাদুজ্জামান জুয়েলের সীমানাপ্রাচীরের বাইরে দক্ষিণ পাশে বিধবা মায়ের নামে দলিলকৃত জমিতে প্রাচীরের কাজ করতে শুরু করেন তখন পূবাইল থানার এসআই সাইদুল এসে কাজ বন্ধ করে দেন।
ওই সময় কাজ বন্ধ রাখতে পুলিশ আদালতের কোনো আদেশ দেখাতে পারেনি। শুক্রবার রাতে স্থানীয় মসজিদের কোষাধ্যক্ষ শেখ তৈয়ব আলীকে সঙ্গে নিয়ে পূবাইল থানার ওসি জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিধবার ছেলে দেখা করলে কাজ করতে মৌখিকভাবে আদেশ দেন।
শনিবার শ্রমিক লাগিয়ে প্রাচীর করতে থাকলে এসআই সাইফুল ফোনে বলেন, কাজ বন্ধ করে থানায় আসতে। অন্যদিকে রাতে বিধবার ছেলে আসাদুজ্জামান থানায় গেলে সাইফুল এসে ওই ফাঁকে প্রাচীর ভাঙেন ও ইলেক্ট্রিক লাইটিংয়ের তার কাটতে পাশের দোকানে প্লাস/রেঞ্জ চান। দোকানদার প্লাস না দিলে সাইফুল চলে যান।
বিধবার প্রাচীর ভাঙার বিষয়ে জানতে চাইলে পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার এসআই সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমি প্রাচীর ভাঙিনি। বুধবার আদালতের ১৪৫ ধারা পিটিশন ও সার্ভেয়ার মিজানুর রহমানকে নিয়ে মাপজোখ করেছি।
