ময়মনসিংহে হু-হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন ২০ থেকে ২৫ জন। আর প্রতিদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন ১০ থেকে ১৫ জন। ২ জুলাই থেকে সোমবার পর্যন্ত মারা গেছেন চারজন।

ভর্তিকৃতরা সবাই ঢাকা, গাজীপুর বা আশপাশের এলাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে নিজ এলাকার হাসপাতাল ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ডেঙ্গু ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা. ফরহাদ হোসেন হীরা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরিফ (২৭) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া এলাকায়। তিনি ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ১২ জুলাই ভর্তি হয়েছিলেন।

ডা. ফরহাদ হোসেন হীরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ জন। এ নিয়ে হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছেন ৭২ জন। ভর্তিকৃতরা সবাই ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা হলেও ঢাকা, গাজীপুর, মাওনা বা তার আশপাশ থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে ডেঙ্গুর উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্রাশ প্রোগ্রাম চলছে। এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করতে প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছেন মসিক।

সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু জানান, ফগার মেশিন দিয়ে এডাল্টিসাইড ও লার্ভিসাইড প্রয়োগের পাশাপাশি নিয়মিত মাইকিং, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মশার লার্ভার অস্তিত্ব যেখানেই পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই সচেতনতার পাশাপাশি জরিমানা করা হচ্ছে। ড্রেনের পানি যাতে জমে না থাকে সেজন্য বেদখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধারে জোর অভিযান চলছে এবং খননও চলছে।

তিনি জানান, সোমবার দুপুরে নগরীর গুলকিবাড়ি এলাকার দুইটি বহুতল ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকদের দুই মামলায় ১০ হাজার করে সর্বমোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগেও গত দিনে চারটি নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানিতে লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে তিনি সব ভবন ও বাড়ির মালিকদের সজাগ থাকার আহবান জানান।