চট্টগ্রাম বোর্ডে এবারও পাশের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৩, ১০:৪৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় এবার পাশের হার ও জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এই বোর্ডে চলতি বছর পাশ করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন। পাশের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অপরদিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন। যা গত বছরের চেয়ে ৭ হাজার ২১৪ জন কম। তবে পাশের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রীরা এগিয়ে রয়েছে। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এক হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। শতভাগ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৫টি।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার ২২ হাজার ৩৯৬ জন পরীক্ষার্থী এক বিষয়ে ফেল করেছে। ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী গণিতে ফেল করেছে। এরপর ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ফেল করেছে প্রায় ৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী। অর্থাৎ প্রায় ২২ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী এবার এসএসসির গণ্ডি পার হতে পারেনি।
পাশের দিক থেকে এবারও বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীরা এগিয়ে। বিজ্ঞানে ৯৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ এবং মানবিকে পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। বোর্ডের অধীন পাঁচ জেলা ও মহানগরে এবার পাশের হার গত বছরের চেয়ে কমেছে। এর কারণ হিসাবে কর্মকর্তারা বলেছেন, কোভিড মহামারিকাল কেটে যাওয়ায় পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা এবং গণিত বিষয়ে তুলনামূলক খারাপ ফলের কারণে সার্বিকভাবে পাশের হার কমেছে। তবে কোভিড মহামারি কালের আগের হিসাব করলে পাশের হার বরং কিছুটা বেড়েছে। ২০২২ সালে পাশের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ২০২১ সালে ছিল ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ। ২০২০ সালে ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ২০১৯ সালে ৭৮ দশমিক ১১ শতাংশ।
সেরা ১০ স্কুল : চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ এর দিক থেকে সেরা দশ স্কুলের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। এই স্কুল থেকে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১০ জন। এর পরেই ৩৭৪ জন জিপিএ-৫ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তৃতীয় স্থানে মুসলিম হাই স্কুল। এ স্কুলে ৩৩১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ স্কুলটি শতভাগ পাশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। চতুর্থ স্থানে রয়েছে নাসিরাবাদ বালক উচ্চবিদ্যালয়। এ স্কুলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬০ জন। পঞ্চম স্থানে রয়েছে নৌবাহিনী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫৭ জন। ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৩ জন। সপ্তম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে ২৩২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়। এ স্কুলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৫ জন। নবম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম গভর্নমেন্ট হাইস্কুল। এ স্কুলে ২২৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। দশম স্থানে কক্সবাজার গভর্নমেন্ট হাইস্কুল। এ স্কুলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৯ জন শিক্ষার্থী।
