টঙ্গীতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
টঙ্গী পশ্চিম (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৩, ১০:৩২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গাজীপুরের টঙ্গীতে পোশাক কারখানা বন্ধপরবর্তী পাওনা পরিশোধ ও শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রায় ২০ মিনিট অবরোধ করে রাখলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, টঙ্গী বাজার ভরান এলাকার পিমকি এ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার বলার পরও আমাদের অতিরিক্ত মজুরির টাকা (ওভারটাইম) দেয়নি। এছাড়াও প্রতি মাসের বেতন পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও এবার দেরি করে বেতন দিয়েছে। এতে সাধারণ শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলন শুরু করে। এরই জের ধরে কর্তৃপক্ষ আমাদের যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ না করেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন।
এছাড়াও অসদাচরণের কারণ দেখিয়ে বুধবার রাতে ১২৫ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তের নোটিশ টাঙিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে উত্তেজিত শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার সকালে সেনাকল্যাণ কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ২০ মিনিট অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের তাড়িয়ে দিলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) মো. ওসমান গনি বলেন, কারখানা বন্ধ ঘোষণার সাত কর্ম দিবসের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিধান থাকলেও একদিন পার না হতেই শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে তাড়িয়ে দেয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে কারখানায় ভাংচুর, মারপিট ও চুরির ঘটনায় ১২ জনকে এজাহারনামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানায় কারখানার সহ-মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স) মো. মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন (৩০), মো. দিপু (২৮), তাসলিম আলী (৩২), রুবেল (২৯), মোজাম্মেল হক (২৮), মো. রমজান (৩২), সায়েদ হোসেন (২৯), সিহাবুল হোসেন মুরাদ (২৮), মানিক উদ্দিন (৩৫), শাহ পরান (২৯), আশিকুল ইসলাম (৩২) ও সোহাগ কাজী (৩৮)।
মামলার বাদী মুরাদ হোসেন জানান, জুলাই মাসের বেতন দিতে একদিন দেরি হওয়ায় মঙ্গলবার উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, ভাংচুর করে ২০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিসাধন করে এবং প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
