সাবেক ধর্মমন্ত্রীর জানাজায় পরিবারের লোক, দুর্বৃত্তদের হামলায় যুবকের মৃত্যু
মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় প্রতিপক্ষের হামলায় আসাদ (৩২) নামের এক যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপর এক যুবক গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আটানি বাজার ও চৌরঙ্গী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আসাদ উপজেলার তারাটি পূর্বপাড়ার শামছুল হকের ছেলে। সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের জানাজা নামাজ পড়তে আসাদের পরিবারের লোকজন ময়মনসিংহ গিয়েছিলেন। আসাদের সংসারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি নাহিদ (২০) উপজেলার মুজাটি চরপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হক মোকার ছেলে।
আসাদের মৃত্যুর বিষয়টি তার চাচাতো ভাই ফারুক নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের জানাজা পড়তে পরিবারের লোকজন ময়মনসিংহ আসেন। এ সুযোগে আটানিবাজার দুলাল মিয়ার চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন আসাদ। এমন সময় ১৫-২০ জনের একটি দল চারদিক থেকে তাকে ঘিরে ধরে এবং দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার দুই হাত ও পা ভেঙে দেয়। সেখান থেকে ফেরার পথে চৌরঙ্গী মোড় লালু মিস্ত্রির সরিষার তেলের দোকান ভাঙচুর করে এবং নাহিদকে একা পেয়ে তাকেও পিটিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আসাদের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম নাহিদের চিকিৎসা ময়মনসিংহ হাসপাতালে চলমান রয়েছে।
পরিবারের লোকজনের দাবি, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দের রাজনীতি করায় তাদের ওপর জামাই মনির গ্রুপের লোকজন এ হামলা করে।
নিহতের মেয়ে আদিবা ও ছেলে আনন্দ যুগান্তরকে বলেন, আমরা এতিম হয়ে গেলাম। ওরা আমাদের বাবাকে বাঁচতে দিল না। ওদের ফাঁসি চাই।
নিহতের স্ত্রী আছিয়া জানান, ওরা আগেও আমার স্বামীকে মারধর করেছিল। এবার ওরা আমার স্বামীকে পৃথিবীছাড়া করল। আমি ওদের ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে পৌর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারের জামাতা মাহবুবুল আলম মনিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর নেক্সাস হাসপাতালের ১০১৫নং রুমে আছেন বলে দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, হামলায় যাদের নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে তাদের সবাইকে আমি চিনি না। এটা তাদের একটি ষড়যন্ত্র। তারা নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ যুগান্তরকে জানান, মারামারির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি।
