সালিশে মারামারির ঘটনায় দুই থানায় অভিযোগ, বিপাকে পুলিশ
গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গাজীপুর মহানগরের ৩১নং ওয়ার্ডের পাকৈরদেশী এলাকায় জমিসংক্রান্ত সালিশ বৈঠকে দুইপক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ভূঁইয়া ও ঢালি গ্রুপের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের ৪০ ও ৩১নং ওয়ার্ডের জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার ও রোববার দুইপক্ষ দুই থানায় অভিযোগ করে। এতে বিপাকে পড়েছে উভয় থানার পুলিশ।
জানা গেছে, জমিসংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে আজাহার হোসেন ঢালি (৫৪) ও আতাউল রসুল ভূঁইয়া জাবেরের (৪৭) মধ্যে বিরোধ রয়েছে। শনিবার সকালে পাকৈরদেশী এলাকার আজাহার হোসেন ঢালির আমবাগানে উভয়পক্ষের লোকদের নিয়ে বৈঠক বসেন তারা। এ বৈঠকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় অন্তত ৪ জন আহত হন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভূঁইয়া গ্রুপ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঢালি গ্রুপের ৪ জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আহত ফাহাদ ঢালি, ফয়সাল ঢালি ও তাজুল ঢালিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। আহত ফাহাদ ঢালির অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার সূত্রপাত পূবাইল থানার ৪০নং ওয়ার্ড ও গাজীপুর সদর মেট্রো থানার ৩১নং ওয়ার্ডের জিরো পয়েন্টে। ফলে ঢালি গ্রুপের আজাহার বাদী হয়ে পূবাইল থানার আওয়ামী লীগ সভাপতি আজিজুর রহমান শিরিষসহ ১৬ জন ও অজ্ঞাত ১০-১৫ জনের নামে অভিযোগ করেছেন গাজীপুর সদর মেট্রো থানায়। অন্যদিকে ভূঁইয়া গ্রুপের বকুল ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন পূবাইল থানায়। একই ঘটনায় দুই থানায় মামলা হওয়ায় বিপাকে পড়েছে উভয় থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে অভিযোগের বাদী আজাহার হোসেন ঢালি বলেন, রেকর্ড সূত্রে আমরা জমি ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ আতাউল রসুল ভূঁইয়া জাবের সেই জমি তার বলে দাবি করে আসছেন। এ বিষয়ে পূবাইল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমানকে প্রধান বিচারক হিসাবে পারিবারিক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিশ চলাকালে অতর্কিতভাবে কয়েকজন হামলায় সালিশে উপস্থিত লোকদের ওপর হামলা চালায়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গাজীপুর সদর মেট্রো থানার ওসি জিয়াউর রহমান যুগান্তরকে জানান, ঘটনা ৪০নং ওয়ার্ডে সংঘটিত হওয়ায় আমার কাছে করা অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।
পূবাইল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
