জামায়াত বিএনপিকে নিয়ে এমপি কমলের সমাবেশ, আ.লীগ নেতাদের বললেন ‘দালাল’
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার একটি সমাবেশের আয়োজন করেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু ও ঈদগাও) আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল। শনিবার বিকালে এমপির নিজ উপজেলা রামুর রামু হাই স্কুল মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তবে এতে জেলা ও রামু উপজেলার একজন আওয়ামী লীগ নেতাও উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি ছাত্রলীগ, যুবলীগের কোনো উলেখযোগ্য নেতাকেও দেখা যায়নি।
মঞ্চে প্রথম সারিতে ছিলেন বিএনপি-জামায়াতের নেতারাই। তাদের পাশে বসিয়ে এমপি কমল আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘দালাল’ বলে আখ্যায়িত করেন। এ নিয়ে কক্সবাজারের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই সমাবেশে ছিলেন রামু উপজেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা জামায়াতের নায়বে আমির এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হোছাইন আহমদ আনছারী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সম্পাদক ছৈয়দ মোহাম্মদ আবদুর শুক্কুর, জামায়াত নেতা নুরুল হক, আলোচিত এইট মার্ডার মামলার আসামি সাবেক শিবির ক্যাডার ছৈয়দ নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলী হোসেন, বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো, শিবির নেতা ও ধানের শীষ সমর্থিত চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ঈসমাইল নোমান প্রমুখ।
সমাবেশে রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ‘দালাল’ আখ্যায়িত করে এমপি কমল বলেন, একটি জাতীয় পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে নিউজ করেছে। আমি নাকি জমি দখল করেছি। জমি দখলের প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।
তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, আর যদি আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের নিউজ করা হয় সাংবাদিককে প্রতিহত করা হবে। রামুর জনগণই প্রতিহত করবে। এ ছাড়া ওই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নিজের বোন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরীকে গালি দিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন, এমপি কমল উপজেলা আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করছেন ঠিকই। কিন্তু আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। তিনি জামায়াত-বিএনপিকে নিয়ে এই সমাবেশ করেছেন।
এ বিষয়ে নাজনীন সরওয়ার কাবেরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, যার শিক্ষক পেটানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে, যে বাবা-মাকে জিম্মি করে, আপন ভাইকেও হত্যার চেষ্টা করে সে তো অভিশাপপ্রাপ্ত। ভোট কেড়ে নেওয়া যার স্বভাব, নারীর সম্মান তার কাছে গৌণ।
