বিএনপি-জামায়াত প্রীতির কারণে কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছে রামু উপজেলা আওয়ামী লীগ।

রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মণ্ডল সোমবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর দেওয়া এক আবেদনে এমন দাবি জানান।

আবেদনে বলা হয়েছে- বিগত ১৪ বছর ধরে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু ও ঈদগাঁও) আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের দ্বারা দলীয় নেতাকর্মীরা নির্যাতিত-নিপীড়িত এবং নাজেহাল হচ্ছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রামু উপজেলায় কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু ও ঈদগাঁও) আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল একটি কথিত নির্বাচনি জনসভার আয়োজন করেন। ওই সভায় জামায়াত-বিএনপির নেতাদের মঞ্চে এনে দলের নেতাদের প্রকাশ্যে চরিত্রহনন ও গালিগালাজ করা হয়েছে। যেখানে জেলা ও রামু উপজেলার একজন আওয়ামী লীগ নেতাও উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি ছাত্রলীগ, যুবলীগের কোনো উল্লেখযোগ্য নেতাকেও দেখা যায়নি। 

সমাবেশে রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ‘দালাল’ আখ্যায়িত করে গালি দিয়ে কটাক্ষ করেন এমপি কমল।

এছাড়াও সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম-দুর্নীতি, সরকারি জমি দখল, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে জামায়াত-বিএনপির নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে জনপ্রতিনিধি করাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ারও ঘটনা দীর্ঘদিনের। তিনি এলাকায় নৈরাজ্য, সাংবাদিককে হুমকি, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে মারধর-হুমকি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনায় সমানভাবে সমালোচিত এই সংসদ সদস্য।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এমপি কমল জনবিচ্ছিন্ন একজন জনপ্রতিনিধি। প্রতিনিয়ত দলীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান, সরকারের বিপক্ষে কথা বলে আলোচনায় এসেছেন; যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর এমন একটি আবেদন জমা দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মণ্ডল।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম আবেদনটি হাতে পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে আলোচনার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

এ বিষয়ে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।