Logo
Logo
×

সারাদেশ

ঈদের জামা কিনতে গিয়ে নিখোঁজ, ৫ মাস পর মিলল যুবকের হাড়গোড়

Icon

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৫ পিএম

ঈদের জামা কিনতে গিয়ে নিখোঁজ, ৫ মাস পর মিলল যুবকের হাড়গোড়

৫ মাস আগে বন্ধুদের সঙ্গে জামা কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রাকিবুল হাসান বাবু (২২) নামে এক যুবক। এরপর পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পায়নি।

দীর্ঘ পাঁচ মাস পর মঙ্গলবার রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর বিলাশ খান গ্রামের সুমন চৌকিদারের বাড়ির পূর্ব পাশের পুকুরপাড়ে ধানি জমি থেকে মরদেহের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই স্থান থেকে আজ বুধবার মাথার খুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রাকিবুল ইসলাম বাবু শরীয়তপুরের পালং ইউনিয়নের নরবালাখানা এলাকার নুর ইসলাম মোল্লার ছেলে। রাকিব শহরের সিদ্দিক কসাইর মাংসের দোকানে শ্রমিকের কাজ করতেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের জামা কেনার উদ্দেশ্যে রাকিব তার বন্ধু জুবায়ের, রায়হান, মুন্না ও ইমনের ডাকে গত ২৫ রমজানের (১৭ এপ্রিল) ইফতার শেষে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর অনেক রাত হয়ে গেলেও রাকিব বাড়ি ফিরে না আসলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পালং মডেল থানায় নিখোঁজের বাবা নুর ইসলাম ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর বিলাশ খান গ্রামের চৌকিদার বাড়ির পূর্ব পাশের পুকুরপাড়ে ধানি জমিনে হাঁটু পানিতে কয়েকজন শিশু খেলতে গিয়ে হাড়গোড় দেখতে পায়। এরপর শিশুরা ভয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ এসে হাড়গোড় উদ্ধার করে। বুধবার একই স্থান থেকে পুলিশ মরদেহটির মাথা উদ্ধার করে। উদ্ধারের সময় হাড়গোড়ের পাশে একটি জার্সি ও মোবাইল দেখে রাকিবের পরিবার তার মরদেহ বলে শনাক্ত করেন।

রাকিবের বোন নোহা বলেন, আমার ভাই কী দোষ করেছিল যে তাকে মেরে ফেলতে হবে। যারা আমার ভাইকে মেরেছে, তাদের বিচার চাই।

নিহত রাকিবের বাবা নুর ইসলাম মোল্লা বলেন, আমার ছেলেকে মার্কেট করার কথা বলে ডেকে নিয়ে জুবায়ের, রায়হান, মুন্না ও ইমন মেরে ফেলেছে। দীর্ঘদিন আমি পথে প্রান্তরে আমার ছেলেকে খুঁজেছি। যারা আমার ছেলেকে মেরেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।

পালং মডেল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে একটি মরদেহের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ তার মাথা উদ্ধার করি। হাড়গোড়ের পাশে পাওয়া একটি জার্সি দেখে নুর ইসলাম নামে একজন দাবি করেছেন মরদেহটি তার ছেলের। এ সময় একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ফোনটি শরিফ নামের একজনের। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরিচয় জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শরীয়তপুর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম