টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি মো. জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম ও সাধারণ সম্পাদক মো. কুদরত আলীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা সেই সাংগঠনিক সম্পাদক ও গয়হাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার উপজেলা আওয়ামী লীগ কার‌্যালয়ে দলের এক বিশেষ জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কুদরত আলী। 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে নাগরপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা হয়। সভায় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সামছুল হক তার বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্থানীয় সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু।

তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি করে। অবাঞ্ছিত ঘোষণার ৩ দিন না পেরুতেই আলোচিত ও সমালোচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সেই সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সামছুল হকের ওপর বহিষ্কারের খড়গ নেমে আসল।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কুদরত আলী যুগান্তরকে জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত ৩নং সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সামছুল হক উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্ব মানেন না। সভাপতি ও সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার দেওয়া বক্তব্য দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, শিষ্টাচার বহির্ভূত ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। জরুরি সভায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য জেলা ও কেন্দ্র কমিটিতে সুপারিশ পাঠানো হবে।

বহিষ্কারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সামছুল হক বলেন, বহিষ্কারের বিষয়টি আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। উপজেলা আওয়ামী লীগ আমাকে বহিষ্কারের এখতিয়ার রাখে না। গঠনতন্ত্রের কোথাও উপজেলা আওয়ামী লীগকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। কেবল জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করতে পারে। এছাড়া আমাদের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় আমি তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।