Logo
Logo
×

সারাদেশ

বাবাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, আটক মেয়েকে ছাড়িয়ে নিতে আকুতি!

Icon

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১০ পিএম

বাবাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, আটক মেয়েকে ছাড়িয়ে নিতে আকুতি!

চাঁদপুর শহরে মনির হোসেন নামে বৃদ্ধ বাবাকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই বৃদ্ধের মেয়ে ফাতেমা আক্তার শিল্পীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলে উল্টো সেই মেয়েকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় এসে আকুতি জানিয়েছেন সেই বাবা।

এমনটিই জানান চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুসহীন আলম। 

রোববার দুপুর পর্যন্ত ফাতেমা আক্তার চাঁদপুর সদর মডেল থানা হেফাজতে রয়েছেন বলে থানা পুলিশ জানায়।

এর আগে শনিবার রাতে শহরের নিউ ট্রাক রোডের কলমতর খান বাড়ি থেকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির ও সঙ্গীয় ফোর্স ফাতেমাকে আটক করেন।

ফাতেমা আক্তার শিল্পী চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের মাস্টাররোলে একজন কর্মচারী এবং ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত। বৃদ্ধ মনির হোসেন খানের কোনো ছেলে নেই, তিন মেয়ে।

বৃদ্ধ মনির খানের প্রতিবেশী শাহজাহান খান ও তার স্ত্রী গোলশানআরা বেগম জানান, মনির খানের ঘর থেকে প্রায়ই বাবা মনির খান ও মেয়ে ফাতেমার উচ্চস্বরে আওয়াজ শোনা যায়। আবার অনেক সময় মনির খানের কান্নাও শোনা যায়। সম্প্রতি মেয়ের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিবাদ হওয়ায় মনির খানকে বিভিন্ন স্থানে বসে থাকতে দেখা যায়। আমরা জানতে পেরেছি বাবার অপরাধ বিছানায় প্রস্রাব করেছেন। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে তিনি নিরুপায়।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিওতে দেখা গেল বাবাকে মারধর করছে মেয়ে। অসহায় বাবা প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে মেয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন। শনিবার রাতে কয়েকটি অনলাইন প্লাটফর্মে বাবাকে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। তারও আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফাতেমা আক্তার তার বাবা মনির খানকে গোসল করাতে নিয়ে মারধর করেন। পার্শ্ববর্তী কোনো ব্যক্তি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে জানান, ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায় ফাতেমা আক্তার শিল্পীকে অনেকেই ওই কলেজের শিক্ষক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। মূলত তিনি মাস্টাররোলের একজন কর্মচারী এবং ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত। তিনি কলেজের শিক্ষা সংক্রান্ত কোনো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ভিডিওটিতে প্রচারিত ঘটনাটি একান্তই তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়। এ বিষয়টি বর্তমানে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এমতাবস্থায় কলেজ প্রশাসন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তারপরও কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অধিকতর অবগতির জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ ওই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে রেখেছে। পরিবার থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চাঁদপুর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম