টাকা ছিনতাই, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যসহ গ্রেফতার ৩
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১৫ পিএম
প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর জিম্মি করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার গোলাম সবুর।
গ্রেফতাররা হলেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ও সদর উপজেলার সওদাগড়পাড়ার মৃত আলিমুজ্জামান মিলনের ছেলে নাদিফ জামান ঊষা (২৪), অপর আরেক নেতা বাড়াইপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে তানভির আহম্মেদ (২৩) ও ডালপট্টি এলাকার নিয়ামত আহম্মেদের ছেলে মো. ফজলে রাব্বী (২৩)।
পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, সদর উপজেলার যাদুরহাট এলাকার সজল ইসলাম দুপুর আড়াইটার দিকে ইসলামী ব্যাংক নীলফামারী শাখায় ৫০ হাজার টাকা জমা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে জেলা শহরের চৌরঙ্গীর মোড়ে নেমে ইসলামী ব্যাংকে যাওয়ার জন্য অপর অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করার সময় প্রথমে দুইজন ব্যক্তি এসে তার নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন।
পরে তারা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সামনে ডিবির বড় স্যারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তখন তিনি প্রতিবাদ করলে ওই স্থানে থাকা রিকশাওয়ালা ও পথচারী লোকজন জড়ো হতে থাকলে ওই দুই ব্যক্তি ডিবি পুলিশের পরিচয় দেন। এ সময় তাকে জোরপূর্বক রিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যান। প্রথমে এবাদত প্লাজার পাশে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সংলগ্ন গলি দিয়ে পূর্বদিকের পুকুর পাড়ে নিয়ে যান। সেখানে আরও দুইজন ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। সজলের প্যান্টের বাম পকেটে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন এবং বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বরে থাকা ৬৫০ টাকা ক্যাশআউট করে নেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, একজন আসামি সজলের কাছে পাঁচ লাখ টাকা পায় মর্মে ১০০ টাকার তিনটি নন-জুডিসিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নিয়ে তা ভিডিও ধারণ করেন। সুযোগ বুঝে কৌশলে প্রাণভয়ে সজল নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে প্রবেশ করে চিৎকার করলে শাপলাপাড়ার লোকজন জড়ো হলে আসামিরা পালিয়ে যান। এ সময় স্থানীয়রা তাদের চিনতে পারলে নাম-পরিচয় বলে দেন।
পরবর্তীতে গ্রেফতার আসামি ঊষার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার ১৯টি ভিডিও পাওয়া যায়। তার কোমরে গুঁজে রাখা এক সেট পুরাতন ব্যবহৃত হ্যান্ডকাপ জব্দ করা হয়। এদিন বিকালে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি শেষে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান গোলাম সবুর।
