‘নোয়াখালীর অর্ধেক ড্রাইভার ঠিকমতো চোখে দেখেন না’
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নোয়াখালীর প্রায় ৫০ ভাগ ড্রাইভার ঠিকমতো চোখে দেখেন না; যার ফলে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে পেশাজীবী গাড়িচালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার বেলা ১১টায় নোয়াখালীর সোনাপুর বিআরটিসি বাস ডিপোতে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ (বিআরটিএ) নোয়াখালী সার্কেল এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
কর্মশালায় পেশাদার চালকদের রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চালকদের চক্ষু, রক্তচাপ, গ্লুকোমিটারের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়।
বিআরটিএ নোয়াখালী সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মাহবুব রাব্বানীর সভাপতিত্বে ও বিআরটিএ নোয়াখালী সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সুজিত রায়ের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় পেশাজীবী চালকদের প্রসঙ্গ টেনে সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. মো. সোহরাব হোসেন বলেন, চেম্বারে প্র্যাকটিস করলে ওখানে ১০ জন রোগী পেলে আমরা ২ জনের প্রেশার বেশি বা ডায়াবেটিস পাই। চোখে সমস্যা পাওয়া যায় ১০ জনের মধ্যে ২-৩ জন। খুবই দুঃখজনক মাঠপর্যায়ে ক্যাম্পেইন করার সময় প্রথম দিন আমরা ২৫-২৬ জনের পরীক্ষা থেকে ৮-১০ জনের হাইপ্রেশার পেয়েছি; কিন্তু তারা জানে না। প্রায় ২০-২২ জন ড্রাইভাররা ডায়াবেটিস নিয়ে কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী আসছেন।
এই চিকিৎসক জানান, ৫০ পার্সেন্ট ড্রাইভার আছে যারা ঠিকমতো চোখে দেখেন না। তাদের চোখে অনেক কম পাওয়ার। তাদের জিজ্ঞাসা করলাম কিভাবে গাড়ি চালান? বলেন- আমি তো দেখি। উনি যেটা দেখেন, ভাবেন সবাই এটাই দেখে, এটা নরমাল। উনি যে লেভেলে ঝাপসা দেখেন- ভাবেন আমরাও এ রকমই দেখি। কারণ উনি জানেন না ত্রুটি কোথায়। এজন্য আমরা যাদের চোখে সমস্যা দেখেছি তাদের বলেছি এখানে আসার জন্য। আমরা উনাদের প্রেসক্রাইব করে দেব। উনি শুধু চশমা বানাবে। কিন্তু অনেকেই আসেন না।
