Logo
Logo
×

সারাদেশ

তিন স্বজনসহ সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড পেলেন গৌরীপুরের ১০ তরুণ-তরুণী!

Icon

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪০ পিএম

তিন স্বজনসহ সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড পেলেন গৌরীপুরের ১০ তরুণ-তরুণী!

সমাজ উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ময়মনসিংহের গৌরীপুরে যুগান্তর স্বজন সমাবেশের ৩ জন স্বজনসহ ১০ জন জাতীয় সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন।

বৃক্ষরোপণ, করোনাকালীন দুর্যোগে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, ইপিআই কর্মসূচির স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে ছয় মাস সেবামূলক কাজ করে শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি স্যালাইন ও টিকাদান কর্মী ব্যাজ অর্জনসহ এ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন তারা।

বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কমিশনার (সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) কাজী নাজমুল হক, নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) উনু চিং, পরিচালক (সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ও সহকারী পরিচালক (সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) মো. এখলাস উদ্দিন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত হলেন- গৌরীপুর আরকে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মো. এহসানুল হক জারিফ, মুনতাসির রহমান মাসুক, পার্থ পাল অনন্ত, চন্দপাড়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপের মোয়াজ হোসেন সিয়াম, পূজা চৌধুরী, মুন দত্ত, মো. মাহফুজুর রহমান, নাফিজুল ইবনে বাসার তানভীর, পার্থ দেবনাথ, মো. সাকিবুল হাসান।

স্বজন সমাবেশের করোনাকালীন দুর্যোগে প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশ নেন জারিফ। ডেঙ্গু প্রতিরোধ, মাদক ও তামাক বিরোধী কর্মকাণ্ডেও তার ভূমিকা রয়েছে। সে গৌরীপুর যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সভাপতি মো. এমদাদুল হক ও গৃহিণী পারভীন আক্তারের পুত্র। সে ভবিষ্যতে একজন শিক্ষক হতে চায়।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার রুবী ও রামগোপালপুর পিজেকে উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ছায়েদুর রহমানের পুত্র মাসুক। সে স্বজন পরিবারের একজন সদস্য। ৫ম শ্রেণির সমাপনীতে জিপিএ-৫ অর্জন করে। সে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য হতে চায়। স্বজন পরিবারের আরেক সদস্য পার্থ পাল অনন্ত। সে ব্যবসায়ী রবি চন্দ্র পাল ও গৃহিণী লিপি রাণী পালের পুত্র। সেও ৫ম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ অর্জন করে। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়।

সিয়াম লেতু মণ্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। ব্যবসায়ী মো. শাহীন আলম ও দর্জি মোসা. মাহমুদা আক্তারের পুত্র। সে ভবিষ্যতে সৈনিক হতে চায়। ডৌহাখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী পূজা চৌধুরী। কৃষক সুকুমার চন্দ্র চৌধুরী ও দর্জি মায়া রানীর কন্যা। কাবদের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড অর্জন সে ভবিষ্যতে ম্যাজিস্ট্রেট হতে চায়।

যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানির এসিস্ট্যান্ট কেমিস্ট পরিতোষ কুমার দত্ত ও শিক্ষক লিপিকা দাসের কন্যা মুন দত্ত। সে নান্দাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ভবিষ্যতে আইনজীবী হতে চায়।

চাকরিজীবী মো. আব্দুল বারেক ও গৃহিণী জাহানারা বেগমের পুত্র মো. মাহফুজুর রহমান। সে বারুয়ামারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। সে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছিল। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশের একজন অফিসার হতে চায়।

নটরডেম কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র তানভীর এর আগেও শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড ও প্রেসিডেন্ট স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। প্রবাসী ইবনে বাসার ও গৃহিণী নাছিমা খাতুনের পুত্র। এসএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করে। সে ডাক্তার হতে চায়।

অপরদিকে চান্দের সাটিয়া মডেল হাইস্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র পার্থ দেবনাথ। ব্যবসায়ী সুজন চন্দ্র দেবনাথ ও গৃহিণী রিনা রানী দেবনাথের পুত্র। শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড অর্জন মো. সাকিবুল হাসান। সে কৃষক মো. দুলাল উদ্দিন ও গৃহিণী মোছা. রহিমা খাতুনের পুত্র। বারুয়ামারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।

ময়মনসিংহ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম