ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে এমপি হলেন ড. শাহজাহান
আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণের পর রাতে দুই সহকারী রিটার্নিং অফিসারের (সরাইল ও আশুগঞ্জের ইউএনও) কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফলে তিনি ২৮ হাজার ৫৬৬ ভোট বেশি পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ১৩৩টি কেন্দ্রের নৌকা প্রতীকে শাহজাহান আলম সাজু পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা কলারছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৫৮ ভোট।
লাঙ্গল প্রতীকে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন ৫৬১ ভোট এবং আম প্রতীকে পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন ৭৩৯ ভোট।
নির্বাচনে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৫১৪ হাজারটি। ভোট পড়েছে শতকরা ২৭ দশমিক ১৩ ভাগ।
এর আগে ভোটের পরিবেশ সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ থাকলেও প্রকাশ্যে সিল মারা, এজেন্ট বের করে দেওয়া ও ভোটার লিস্টে ইচ্ছাকৃত গরমিলসহ অনিয়মের অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
এ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন মোট পাঁচজন। তারা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, লাঙ্গল প্রতীকে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল, আম প্রতীকে পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া মারা যাওয়ায় এই সংসদীয় আসনটি শূন্য হয়। পরে এই আসনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
বিএনপির দলছুট নেতা আব্দুস সাত্তার ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) থেকে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গত বছরের ডিসেম্বরে দলীয় সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেন তিনি। পদত্যাগের পর নিজের ছেড়ে দেওয়া আসনে গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি পুনরায় এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
