|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কক্সবাজারের উখিয়ায় র্যাবের টহল দলের ওপর হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার।
গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া জাগির হোসেন (৩৮) জালিয়াপালং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি পাইন্যাশিয়া গ্রামের মৃত মো. আলমের ছেলে।
মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জাগিরের ভাতিজা শিহাব উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, রোববার হামলার সময় তার চাচার (জাগির) পেটে গুলি লাগে। এরপর তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।
রোববার রাত ১০টার দিকে উখিয়ার জালিয়াপালং পাইন্যাসিয়া এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে বিএনপির ৪২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব।
র্যাবের দাবি বিএনপি নেতা সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে র্যাবের ওপর এ অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জাগির হোসেন উখিয়া থানায় র্যাবের করা মামলায় ১৪ নম্বর আসামি। ১ নম্বর আসামি করা হয় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরীকে।
স্থানীয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, বিএনপি নেতা সুলতান মাহমুদ একটি নাশকতা মামলার প্রধান আসামি। তাকে র্যাব গ্রেফতার করতে গিয়েছে এমন ধারণা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়ো করেন সুলতান। পরে তাদের উসকানি দিয়ে র্যাবের ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দেন।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ৪২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে এ মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
ওসি বলেন, আহত জাগির হোসেন চমেক হাসপাতালে মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি।
জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। কিন্তু গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরসহ নাশকতার মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করে এলাকা ছাড়া করা হচ্ছে।
গভীর রাতে আসামি ধরার নামে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘরবাড়িতে র্যাবের তল্লাশির ঘটনায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, রোববার রাত ১০টার দিকে র্যাব ১৫-এর একটি টহল দল নাশকতা ঠেকাতে রাস্তায় টহল দিচ্ছিল। নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে র্যাবের একটি গাড়ি বিএনপি নেতা সুলতান মাহমুদের বাড়ির পাশে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় একটি নাশকতা মামলার প্রধান আসামি ও বিএনপি নেতা সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে র্যাবের ওপর অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসীরা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পরে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় র্যাবের একটা গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে র্যাবও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
