মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আব্দুল্লাহপুর গ্রামে তালা ভেঙে ভাড়া বাসা থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই ব্যবসায়ীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহতের নাম রাহাফুল খান (২২)। তিনি ভবেরচর ইউনিয়নের চরপাথালিয়া গ্রামের জাহিদ হোসেনের ছেলে।

নিহতের বড় ভাই হৃদয় খান বলেন, রাহাফুল পেশায় ব্যবসায়ী ছিল। ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাউশিয়া বহুমুখী উন্নয়ন সমিতি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিউ নবাবপুর ইলেকট্রিক নামে তার একটি দোকান আছে। এতদিন সে তার বাড়ি চরপাথালিয়া গ্রাম থেকে দোকানে যাওয়া-আসা করলেও রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়া যাওয়ায় ১ নভেম্বর থেকে দোকানের কাছে আব্দুল্লাহপুর গ্রামে ওয়াজেদ আলীর আধপাকা বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকত।

তিনি বলেন, রোববার সকালে আমরা জানতে পারি গত দুদিন ধরে রাহাফুল দোকানে আসে না। আমাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শনিবার সকালে তার সর্বশেষ কথা হয়েছিল তারপর তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ। রোববার সকালে তার দোকান বন্ধ দেখে দুপুর ১২টার দিকে আমরা তার ভাড়া বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে রুমের বাহির থেকে দুর্গন্ধ পাই তবে দরজাটি বাহির থেকে তালা দেওয়া ছিল। বিষয়টির সন্দেহ হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাই পরে পুলিশের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে রুমে প্রবেশ করলে দেখা যায় সোফার মধ্যে পড়ে আছে রাহুাফুল তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। আশেপাশে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।

নিহতের নানী মমতাজ বেগম বলেন, রাহাফুল যে রুমে ভাড়া থাকতো তার আশেপাশের রুমের ভাড়াটিয়ারা দরজায় তালা দিয়ে পালিয়েছে। রাহাফুলের রুমটিও বাহির থেকে তালাবদ্ধ ছিল। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় স্পষ্ট তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে হত্যাকারীরা পালিয়ে গেছে।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করছে শনিবার রাতের কোনো এক সময় তার মৃত্যু হয়েছে। ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। তদন্তের পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।