Logo
Logo
×

সারাদেশ

সুনামগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

Icon

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৪ পিএম

সুনামগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল হামিদ মিল্টন। রায় ঘোষণার সময় আসামি মিল্টন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের পিপি খায়রুল কবির রুমেন।

জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মইনপুর গ্রামের মদরিছ আলমের মেয়ে রিপা বেগমের প্রথম স্বামী ফখর উদ্দিনের সঙ্গে পারিবারিক কলহের কারণে ছাড়াছাড়ি হয়। এক কন্যা সন্তানসহ স্বামীর সংসার ছাড়েন রিপা। পরে আসামি আব্দুল হামিদ মিল্টনকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। পারিবারিক কলহের কারণে আসামি আব্দুল হামিদ মিল্টনের সঙ্গেও সংসার করা হয়নি রিপার। গত বছরের তিন ফেব্রুয়ারি আদালতের মাধ্যমে আসামি আব্দুল হামিদ মিল্টনকে তালাক প্রদান করেন স্ত্রী রিপা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে রিপা বেগমের স্বামী আসামি আব্দুল হামিদ মিল্টন। সে তার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যায়। রিপা তার আগের স্বামীর সন্তানসহ বাবার বাড়িতে চলে আসেন। ওখানে আসার পর আসামি আব্দুল হামিদ মিল্টনের বন্ধু গোলজারের সঙ্গে স্ত্রী রিপা বেগমের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গোলজারকে নিয়ে স্ত্রী রিপা বেগম তার প্রথম স্বামীর কন্যাসন্তান ফাহমিদাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তেঘরিয়ায় বাসা নিয়ে বসবাস করেন।

আসামি আব্দুল হামিদ মিল্টন গত বছরের ৬ মার্চ বেলা ১১টায় তেঘরিয়ার সেই বাসায় স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করে মেঝেতে ফেলে রাখে। মৃত্যুর আগে রিপা বেগমের চিৎকারে আশপাশের ভাড়াটিয়াসহ স্থানীয় লোকজন এসে ঘরের দরজা খুললে তার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। হত্যার পর আসামি মিল্টন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রিপার বাবা মদরিছ আলম আব্দুল হামিদ মিল্টনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা মামলা দায়ের করেন।

আদালতের পিপি খায়রুল কবির রুমেন বলেন, আসামির মৃত্যুদণ্ডে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

অপরদিকে আসামিপক্ষ জানিয়েছে রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবে।

সুনামগঞ্জ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম