মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ-সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের আয় ও সম্পদ  বেড়েছে কয়েক গুণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় তার বার্ষিক আয় বেড়েছে চারগুণ।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকাতে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে কৃষি জমি থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং মৎস্য খাত থেকে ৫ লাখ টাকা। আয়ের খাত ছিল কৃষি জমি থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তার  সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫২ লাখ টাকার এবং ২৫ ভরি স্বর্ণ। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ৪২ লাখ, ১টি গাড়ি যার মূল্য ৫ লাখ টাকা, গৃহস্থলির ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ২ লাখ টাকার।

২০১৮ সালের নির্বাচনি হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে নগদ ছিল ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ১৪ লাখ, গৃহস্থলির ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ১ লাখ ২০ হাজর টাকার এবং ১৫ ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার টাকার। তার দেওয়া হলফনামায় কৃষি জমির পরিমাণ ৯.৩৩ বলা হয়েছে। যা শতাংশ না একর কোন পরিমাপ স্পষ্ট করা হয়নি। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ ছিল তার কৃষি জমি ১০ বিঘা এবং অকৃষি জমি ৫ বিঘা ৫ কাঠা। আবার সংসদ-সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের স্ত্রীর সম্পদও বেশ বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার স্ত্রীর সম্পদের মূল্য ৩৭ লাখ টাকা এবং স্বর্ণ ২৫ ভরি উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তার সম্পদ ছিল ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার। তার স্ত্রীর নামে জমির পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে জমির পরিমাণ ছিল ৭ কাঠা। এখন তার পরিমাণ কৃষি জমি ২.২৯। যা শতাংশ না একরে হিসাব তা উল্লেখ করা হয়নি।