Logo
Logo
×

সারাদেশ

আমার বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় মিথ্যাচার চালাচ্ছে: মেয়র কাদের মির্জা

Icon

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৮ পিএম

আমার বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় মিথ্যাচার চালাচ্ছে: মেয়র কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর এসপি ও ওসি সাংবাদিকদের লাগিয়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় মিথ্যাচার চালাচ্ছেন। আমি নাকি ‘হেলমেট বাহিনী’ পালি।

এ সময় তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রশ্ন রেখে বলেন, এখানে কি হেলমেট বাহিনী আছে? আমার নাকি হেলমেট বাহিনী আছে, এগুলো এসপি ও ওসি বলেন। আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেয়। সোচ্চার থাকুন, ভয় পাবেন না। বিএনপি-জামায়াত এখানে ভোট পর্যন্ত থাকার দরকার নেই। তারা যেহেতু ভোটে নেই, তাদের এখানে থাকারও দরকার কী। প্রশাসনের ছত্র ছায়ায় থেকেই এরা হত্যা, লুট, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে তিনি বলেন।

রোববার সকালে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে বসুরহাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় অফিসের সামনে বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়র কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।

কাদের মির্জা পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা লোকজন জামায়াত-বিএনপির টাকা খেয়ে অগ্নিসংযোগ, নৈশপ্রহরী হত্যা, স্বর্ণের দোকান লুট ডাকাতি, গরু চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই এখানে একজন জামায়াত-বিএনপিকেও পুলিশ ধরেনি। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য। যাকে যেখানে পাবেন, ধরে থানায় পুলিশে সোপর্দ করবেন। ধরে দেওয়ার পর পুলিশ না রাখলে আমরা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে জানাব। আজই আমি আমার নেত্রীর সাথে কথা বলব।

আমার কাছ থেকেও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি এক লাখ টাকা নিয়েছে। পুলিশ ফোর্সের নানা ধরনের খরচ আছে বলে ওসি আমার কাছে টাকা চায়। আমি আমার কর্মচারী করিমকে দিয়ে ১ লাখ টাকা ওসির কাছে পাঠিয়ে দিই। দেশের যেকোনো আদালতে আমি এর প্রমাণ দিতে পারব। গরু চুরির সঙ্গেও পুলিশ জড়িত। পুলিশের কারণে এখানকার মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না। একটা গরুও কেউ রাখতে পারে না। সালিশ বাণিজ্য করে পুলিশ দুপক্ষ থেকে টাকা খেয়ে চুপ করে বসে থাকে।

নোয়াখালীর এসপি ও ওসি বিএনপি-জামায়াতকে উস্কানি দিয়ে এখানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা এবং ষড়যন্ত্র করছে। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। প্রশাসন যদি সংশোধন না হয়, তাহলে নারী-পুরুষ সকলে মিলে জনমত সৃষ্টি করে ওদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করা হবে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ না করে এখানকার পুলিশ হরতাল-অবরোধের সময় থাকে না। তারা আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে পাহারা দেয়। এসপি-ওসিকে আমরা চিনি। তারা কোথায় কি করে তাও আমরা জানি। ভালো হয়ে যাও, ভালো না লাগলে এখান থেকে চলে যাও।

পুলিশ সরকারি জায়গা দখল করে ভাতা আদায় করে খায়। সরকারি জায়গায় ঘর দিয়ে তারা ভাড়া আদায় করে। অথচ আমাদের সিএনজি ও রিকশাস্ট্যান্ড নেই। সরকারি জায়গাও পুলিশ তাদের দখলে রেখেছে।

কাদের মির্জা আরও বলেন, ১৯৭৫ এ ১৫ আগস্ট শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় ৪ নেতা হত্যা, ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে তারেক জিয়ার নির্দেশে সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যা। এগুলো কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? বিএনপি-জামায়াত হরতাল-অবরোধের নামে গাড়ি পোড়ানো, পুলিশ হত্যা, আমাদের দলের নেতা মামুন-ইমাম হত্যা, ২০১৫ সালে ১৫টি সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছিল, তা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়?

নোয়াখালী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম