ইউপি চেয়ারম্যান থেকে এমপি শহিদুল ইসলাম
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার এডিএম শহিদুল ইসলাম। প্রবল আত্মবিশ্বাস, অদম্য সাহসী, মিষ্টভাষী শহিদুল ইউপি চেয়ারম্যান থেকে ধাপে ধাপে উঠে এসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।
শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের অন্য পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। পরে তিনি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার মাদারপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত শহিদুল ইসলাম বিগত ২০০৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এবং ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শ্রীবরদী উপজেলার খড়য়া কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং দল থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন চান। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ২০১৯ সালে শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসেন। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্যাপক গণসংযোগ করেন। এলাকায় পোস্টারিং সভা-সমাবেশ ও গেট নির্মাণ করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পাওয়ার পর শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এডিএম শহিদুল ইসলাম শেরপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়ে ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য পদে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সভাপতি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। নাইম পেয়েছেন ৪৬ হাজার ২২৮ ভোট।
