বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:০২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় বিএনপি নেতা হোমিও চিকিৎসক হারুন অর রশিদ হারুন (৫৫) হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে নিহতের ছেলে ফেরদৌস আহাম্মদ দীপ্ত বাদী হয়ে পাগলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
পাগলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, মামলায় আসামি করা হয়েছে হত্যার ঘটনায় জড়িত রুবেল মিয়াকে। এছাড়া মামলায় আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
হোমিও চিকিৎসক হারুন অর রশিদের সঙ্গে ঘাতক রুবেল মিয়ার পারিবারিক কোনো ঘটনা থাকতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে সব ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে হারুনুর রশিদ হারুন গয়েশপুর বাজারে ছাগলহাটায় বসে চা পান করছিলেন। এ সময় ডা. হারুনের সঙ্গে রুবেলের ঝগড়া এবং ধাক্কাধাক্কি হয়। কিছুক্ষণ পর রুবেল দা নিয়ে চা দোকানে এসে ডাক্তার হারুনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় হারুন দৌড়ে পালাতে গিয়ে কাঁচাবাজার গলিতে ছিটকে পড়ে যান। সেখানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে রুবেল।
পরে উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়ি ঘেরাও করে জ্বালিয়ে দেয়। উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দিয়ে রুবেলকে পুলিশে দেন। রুবেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে পুলিশ পাহারায় ঢাকার আগারগাঁও নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গয়েশপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেলিম জানান, ডা. হারুন অর রশিদ একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন। লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মামলার বাদী নিহতের ছেলে ফেরদৌস আহম্মদ দীপ্ত জানান, আমার বাবাকে সন্ত্রাসী রুবেল কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে গয়েশপুর বাজারে দা নিয়ে উল্লাস করেছে। আমি হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানান তিনি।
পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জানান, নিহত হারুন অর রশিদ ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তিনি গোয়ালবর গ্রামের মৃত খুরশেদ আলমের ছেলে। ঘাতক রুবেল মিয়া একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
