|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আয়োজনে নগরীর ফুসফুসখ্যাত সিআরবিতে ২৩ দিনব্যাপী বইমেলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। ছুটির দিন হওয়ায় এদিন দুপুর থেকেই মেলার মাঠে মানুষ আসতে শুরু করে। এ সময় মঞ্চে একের পর এক দলীয় পরিবেশনা হয়। বিকালে নানা বয়সি মানুষের পদচারণায় জমজমাট হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ।
সরেজমিন দেখা যায়, মেলায় ঢুকতে হাতের বামে সড়কের একপাশে রয়েছে চসিকের তত্ত্বাবধানে নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহযোগিতায় ‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। মেলায় শিশু কর্নারে বিভিন্ন রাইড, মুখরোচক খাবারের স্টল, মৃৎশিল্প সামগ্রীর স্টল ছিল জমজমাট। বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি বিদ্যানন্দের স্টলটিকে ঘিরে পাঠক দর্শকদের কৌতূহল সবচেয়ে বেশি। সেখানে মেয়েদের ও ছেলেদের বই পড়ার স্থান রাখা হয়েছে। মেলায় বাতিঘর, প্রথমা, অন্যধারা, সাহিত্য বিচিত্রা, মূর্ধন্য, লাবণ্য, তৃতীয় চোখ, গলুই, বলাকা, খড়িমাটি, শব্দশিল্প, কাকলী, কালধারা, কথাপ্রকাশ, নন্দন, শৈলী প্রকাশন, বলাকা, ইতিহাসের খসড়া, চন্দ্রবিন্দুসহ বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে। তবে অনেকগুলো স্টলের কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্রথমদিন প্রায় প্রতিটি স্টলের সামনেই মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। ছুটির দিন হওয়ায় অনেককে পরিবার নিয়ে বইমেলায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। সন্ধ্যায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এবারের বইমেলার বাজেট ৫০ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায় এ বইমেলা হচ্ছে। ৪৩ হাজার বর্গফুটে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৯২টি প্রকাশনা সংস্থার ১৫৫টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ডাবল স্টল ৭৮টি, সিঙ্গেল ৭৭টি। এবারও জাতীয় জীবনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য একুশে সম্মাননা স্মারক পদক ও সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হবে। আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে।
