শিক্ষাসফরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মদ্যপানের ভিডিও ভাইরাল
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাদারীপুরের শিবচরে স্কুল থেকে শিক্ষাসফরে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একত্রে মদ্যপান করছেন। শিক্ষার্থী বিদেশি মদের বোতল থেকে শিক্ষককে মদ ঢেলে দিচ্ছেন, আবার শিক্ষকের সামনেই শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাস করে মদ্যপান করছেন- এমন ভিডিও সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষাসফরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শনিবার ভোরে বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৪১ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাসফরের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ যান। তবে সঙ্গে নেওয়া হয়নি কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবককে।
ভিডিও ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষাসফর শেষে এলাকায় ফেরার পর সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মদ্যপানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়- বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মো. ওয়ালিদ মদের বোতল হাতে নিয়ে মদ ঢালছেন এবং শিক্ষার্থীদের হাতে মদের বোতল দিচ্ছেন। এমন ভিডিও দেখে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমার মেয়েও গিয়েছিল শিক্ষাসফরে, আমরা যারা বাচ্চাদের অভিভাবক আছি তাদের শিক্ষকরা সঙ্গে নেন নাই। শিক্ষকদের সামনে যদি এমন কর্মকাণ্ড হয় তবে আর কিছুই বলার থাকে না।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, আমার বন্ধুরা শিক্ষাসফরে গিয়েছিল। ওরা ফেসবুক স্টোরি দিয়েছে। আমি ভিডিওতে দেখেছি ওরা ফরেন বোতল মদপান করেছে। ওরা স্যার ম্যাডামদের সামনেই খেয়েছে মদ।
বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে- ক্লাস টেনের ছাত্র-ছাত্রীরা নাচে এবং মদের বোতল হাতে স্যাররা সেখানে আছে দেখলাম।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমার বাড়ি সদরপুর। আমি আগের দিন ঢাকাতে গিয়ে অবস্থান করেছি। শিক্ষাসফরে আমি যোগ দিয়েছি ঢাকা থেকে। এর আগে বাসের মধ্যে কী হয়েছে তা আমি জানি না। দায়িত্বে ছিলেন শিউলি ম্যাডাম। আমি বাসে উঠার পর এমন কোনো ঘটনা ঘটে নাই।
এ ব্যাপারে বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, শিক্ষাসফরের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মদ খেয়ে নেচেছে বিষয়টি শুনেছি ও ভিডিও দেখেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাকসুদুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা নিয়ে তদন্ত কমিটি করে দেব, যদি শিক্ষকরা এর সঙ্গে জড়িত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
