রোজার প্রথম দিন গোপালগঞ্জে বিদ্যালয় খোলা
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রোজার প্রথম দিন গোপালগঞ্জে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেতে দেখা গেছে।
গোপালগঞ্জ শহরের বীণাপাণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেশমা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, বীণাপাণি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এসএম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বর্ণকলি উচ্চ বিদ্যালয়, এস এম গভঃ হাই স্কুল, শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ ও গোপালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় খোলা ছিল।
স্কুল বন্ধের বিষয়ে তাদের নোটিশ না করায় প্রতিদিনের মতো শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাচ্ছে বলে তারা জানায়।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, প্রথম রোজার দিন জেলার ৫টি উপজেলায় সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা ছিল। ওইসব বিদ্যালয়ে যথারীতি পাঠ দান করা হয়। তবে কোনো কোনো স্কুল অর্ধবেলা পর্যন্ত পাঠদানের পর ছুটি দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়গামী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, রোজা রেখে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্কুলে থাকা তাদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ আপাতত আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত বহাল রেখেছে। মঙ্গলবার (আজ) এ বিষয়ে আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত। তাহলে প্রথম রোজার দিন আমরা কেন বিদ্যালয়ে যাব? এটা কী আদালত অবমানতার সামিল নয়? এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততা দুঃখজনক।
শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ শাহনাজ রেজা এ্যানি বলেন, রোজার প্রথম দিন বিদ্যালয় বন্ধ বা খোলা রাখার বিষয়ে উপরের কোনো নির্দেশনা পাননি তিনি। আদালতের সিদ্ধান্ত সম্পর্কেও তিনি জানতেন না। তবে আপিল শুনানির পরে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ১০ রোজা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫ রোজা পর্যন্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে। পূর্বের মতো ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত পাঠদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মুসলিম অনেক শিক্ষার্থী রোজা রাখে। রোজা রেখে টানা ক্লাশ করলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। আবার যারা রোজা থাকবে না তাদেরও সমস্যা রয়েছে। তারা কতক্ষণ টিফিন না করে থাকতে পারবে। তাই আমি ক্লাস চলাকালে টিফিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম কবির বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কোনো কিছুই বলতে পারবেন না। মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা তিনি পাননি। ওই নির্দেশনা মোতাবেক বিদ্যালয় চলবে।
