মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফরিদগঞ্জে ছেলের হাতে মা খুন হয়েছেন। উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। মায়ের নাম রানু বেগম (৫৫)। ঘাতক ছেলে রাছেল (২২) পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বামী আতর খান বলেন, আমার তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে রাছেল সবার ছোট। কয়েক দিন ধরে তাকে বিয়ে করানোর জন্য আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। সে আমাকেও মেরেছে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় রান্না-বান্নার কাজ করি। আমার ছেলে দুপুর ২টা ৪৯ মিনিটে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার মাকে কে যেন ঘরে গলা কেটে রেখে গেছে। তখন আমি নিশ্চিত হয়েছি, আমার স্ত্রী তার সন্তানের হাতেই খুন হয়েছে। ফোন কেটে সঙ্গে সঙ্গে আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগমের লাশ বিছানায় পড়ে আছে। আমার ছেলে রাছেল পালিয়ে গেছে। পরে আমার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি, নিহতের পাঁচ সন্তানের মধ্যে রাছেল সবার ছোট। বড় ছেলে ফারুক প্রায় ৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। বাড়িতে বাবা-মায়ের খোঁজখবর রাখে না। বাকি তিন মেয়ের বিয়ে হওয়াতে তারা স্বামীর বাড়িতে থাকে। রাছেল ফরিদগঞ্জ বাজারে একটি মুদি দোকানে শ্রমিকের কাজ করে। কয়েক দিন ধরে সে তার বাবা-মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তাকে বিয়ে করানোর জন্য। যদি তাকে বিয়ে না করায়, সে বাবা-মাকে খুন করে ফেলবে। আমি চাই সঠিক তদন্ত করে এ হত্যার বিচার করবে প্রশাসন।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল থেকে রানু বেগমকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করেছি। রানুর স্বামী আতর খান ও তার মেয়ে শাহিন আক্তার বলেছেন- রাছেলই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। অভিযুক্ত রাছেল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।
