চাঁদপুরে মিতু হত্যা মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আলোচিত মিতু আক্তার (২১) হত্যা মামলার আসামি মো. হযরত আলীকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অপর ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২)-এর বিচারক সাহেদুল করিম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
হত্যার শিকার মিতু আক্তার উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. হযরত আলী একই উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মিতু আক্তারের সঙ্গে ২০১৩ সালে হযরত আলীর মোবাইল ফোনে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক হয়। ওই বছরই তারা উভয়ে নিজ ইচ্ছায় হাজীগঞ্জে কাজী অফিসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর শ্বশুরালয়ে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন; যার ফলে ২০১৬ সালের ২৫ জুন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মিতু ও হযরত আলীর তালাক সম্পাদন হয়।
এর মধ্যে হযরত আলী প্রবাসে চলে যান এবং মিতুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখেন। ২০১৭ সালের জুন মাসে আবার দেশে ফিরে আসেন এবং পরের মাসে ২৩ জুলাই মিতুকে নিয়ে চাঁদপুর শহরে ঘুরতে আসেন। ঘোরাঘুরি শেষে মিতুকে বাড়িতে দিয়ে যান। ওই রাতেই হযরত আলী ও তার বন্ধুরা মিতুদের বাড়িতে খেতে আসবে বলে জানায়।
রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে হযরত আলী মিতুকে বন্ধুদের তাদের বাড়ির সামনে থেকে এগিয়ে নিতে বলে। মিতু এগিয়ে আনতে গিয়েই হত্যার শিকার হন। তার মা রাবেয়া বেগম মেয়ে ঘরে ফিরে আসছে না দেখে এগিয়ে গিয়ে এলাকার আবদুর রহমানের ঘরের দক্ষিণে পুকুরপাড়ে মিতুর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মিতুর মা রাবেয়া বেগম হযরত আলীকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হযরত আলীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, আদালত ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামির অপরাধ স্বীকার এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সেলিম আকবর ও ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম।
