Logo
Logo
×

সারাদেশ

সিরাজগঞ্জে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবরুদ্ধ

Icon

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৪ পিএম

সিরাজগঞ্জে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবরুদ্ধ

সিরাজগঞ্জে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তার নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন ঠিকাদাররা। ঠিকাদারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অহেতুক টেবিল ঘুরানো, বিল পাশে ধীরগতি, ঠিকাদারকে না জানিয়েই কাজ বাতিল, এমনকি নিয়মকানুন অনুসরণ না করেই একাধিক ঠিকাদারের চুক্তি বাতিলসহ নানা অভিযোগে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় তাকে।

এ সময় ঠিকাদাররা জেলার একাধিক গণমাধ্যমকর্মীর উপস্থিতিতে অভিযোগগুলো নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে উপস্থাপন করলে তিনি তাদের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজের ব্যস্ততা দেখাতে থাকেন। এতে ঠিকাদাররা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে একপর্যায়ে তিনি ক্ষমা চেয়ে সবাইকে রেখেই দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে একাধিক ঠিকাদার জানান, কাজ নিতে টাকা, শুরু করতে টাকা, বিল নিতে টাকা, ব্যাংক সিকিউরিটি নিতে টাকা, জামানত ফেরত নিতে টাকা দিতে হয় জেলা ও উপজেলা অফিসারদের। দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জ এলজিইডির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও শুধু বদলি আর পদায়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

তরুণ নামের এক ঠিকাদার বলেন, আমি ৭৫ লাখ টাকার পারফরম্যান্স গ্যারান্টি পাব। গত দুই দিন আগে গ্যারান্টির টাকা চাইতে গেলে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন- আমার মাথা গরম আছে, আপনি আমার রুম থেকে বের হয়ে যান। আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করেছেন, আমি যদি রাতে স্ট্রোক করে মারা যেতাম- তাহলে আমার পরিবারের কী উপায় হতো? এমন প্রশ্ন করা হলে নির্বাহী প্রকৌশলী হেসেই উড়িয়ে দেন। এতে অন্য ঠিকাদাররা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

সোহান এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহাদৎ হোসেন বুদ্দিন জানান, আমার কাজ অনেক দিন ধরে শেষ হয়েছে, কাজটি দেখে বিলটি দেওয়ার অনুরোধ করেছি একাধিকবার। এ নিয়ে অফিসে বেশ কিছুদিন ধরে ঘুরছি। একপর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে ধমক দিয়ে তার রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক ঠিকাদার জানান, আমরা শুনেছি এই নির্বাহী প্রকৌশলী অতীতে কোথাও ৮ থেকে ১০ মাসের বেশি চাকরি করতে পারেননি।

কবির তালুকদার নামে এক ঠিকাদার জানান, আমি একটা কাজ পেয়েছিলাম কিন্তু আমি তাকে টাকা দিতে পারিনি বলে তিনি একক ক্ষমতায় কাজটি রি-টেন্ডার করেছেন।

এসব বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে সব কিছুর ব্যাখ্যা দিতে পারব না। কাজ করলে কিছু ভুলত্রুটি হবে। যতটুকু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এজন্য ক্ষমা চেয়েছি। আপনারা গণমাধ্যমকর্মী, আপনারা বেশি প্যাঁচায়েন না বলেই দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন তিনি।

সিরাজগঞ্জ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম