Logo
Logo
×

সারাদেশ

পঁচিশেই থামিয়ে দিয়েছে স্বপ্নবাজ জিহাদকে

Icon

দশমিনা ও দক্ষিণ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম

পঁচিশেই থামিয়ে দিয়েছে স্বপ্নবাজ জিহাদকে

মো. জিহাদ মোল্লা। বয়স সবেমাত্র পঁচিশ চলছিল। দুই চোখ ভরা স্বপ্নবাজ জিহাদ যেমন ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, ঠিক তেমনিই ছিলেন দুঃসাহসী। ছিলেন প্রতিবাদীও। কিন্তু এই প্রতিবাদ তাকে পঁচিশেই থামিয়ে দিয়েছে। দেশজুড়ে চলা বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে নিহত হন জিহাদ।

জিহাদ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরের মোল্লা বাড়ির মো. নুরুল আমিন মোল্লার ছোট ছেলে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জিহাদ সবার ছোট। পরিবারের আদরের সন্তান নিহতের ঘটনায় বাকরুদ্ধ পরিবার।

২০১৬ সালে পটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে ঈর্ষণীয় সফলতা অর্জন করেন। দুই চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা-মা জিহাদকে মানসম্মত শিক্ষার জন্য ওই বছরই ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ কলেজে ভর্তি করেন। সেখান থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পাশ করেন। পরে কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে ইতিহাস বিভাগে অনার্স পাশ করেন। ওই বছর ফের একই কলেজে এমএ প্রথম বর্ষে ভর্তি হন।

জিহাদ ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি ভাড়া বাসায় থেকে পড়াশোনা করতেন। ১৯ জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে গিয়ে বিকাল ৪টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন জিহাদ। পরে তার সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে এক ঘণ্টা চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

২০ জুলাই শনিবার রাতে তার লাশ দশমিনার বাড়িতে নেওয়া হয়। ২১ জুলাই ভোরে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

জিহাদের বড় ভাই মো. জিন্নাত হোসেন যুগান্তরকে বলেন, জিহাদের স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা শেষ করে সে পরিবারের হাল ধরবে। তার ইচ্ছে ছিল সে একজন ব্যবসায়ী হবে; কিন্তু দেশের লাখ লাখ বেকার ও জনগণের চাওয়া যৌক্তিক আন্দোলনে গিয়ে শহিদ হন জিহাদ। তাকে হারিয়ে আমার স্বজনরা বাকরুদ্ধ।

জিহাদের বড় ভাই আরও জানান, আমরা মিথ্যা আশ্বাস নয়। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তার হত্যাকারীদের বিচার চাই।

অন্যদিকে কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. জাকির হোসেন নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ১৯ জুলাই ঢাকার রায়েরবাগে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে ২৫ জুলাই ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার মাছুয়াখালী গ্রামের মৃত মান্নান হাওলাদারের ছেলে। এছাড়াও কয়েকজন নিখোঁজের গুঞ্জন থাকলেও কারও নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

কোটাবিরোধী আন্দোলন পটুয়াখালী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম