|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গাজীপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর নিজেদের উদ্যোগে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্যরা। সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রধান ফজলুল করিমের নির্দেশে মন্দিরসহ সরকারি স্থাপনা পাহারা দিচ্ছেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত খুলে দেওয়া হয়।
সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
সকালে গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্যরা প্রধান গেটে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। সংগঠনের ইউনিফর্মধারী সদস্যরা ছাড়াও নেতৃবৃন্দের সহায়তা করতে দেখা গেছে।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। উপস্থিতিরা গল্প আড্ডায় সময় পার করছেন আলোচনার বিষয়বস্তু সরকারের পতন।
অপরদিকে সকাল ১০টার পর বিভিন্ন দল খণ্ড খণ্ড মিছিল করছে গাজীপুরের বিভিন্ন মহাসড়কে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজীপুর সদর থানা সভাপতি এসএম ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রধান ফজলুল করিমের নির্দেশে সারা বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির পাহারা দেওয়া হচ্ছে। আমরা বাঙালি সবাই ভাই ভাই। দেশের এই মুহূর্তে কোনো মহল সংখ্যালঘুদের বাড়িতে কিংবা মন্দিরে যাতে হামলা করতে না পারে সেজন্য আমরা পাহারায় বসেছি। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সামনে আমাদের সদস্যরা নিরাপত্তা দায়িত্বে রয়েছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা এ দায়িত্ব পালন করে যাব।
