সাবেক এমপি আবদুস সবুরসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সবুর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, সাবেক পৌর মেয়র নাঈম ইউসুফ সেইনসহ ৫৫ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
রোববার কুমিল্লার আদালতে মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত রিফাতের মা নিপা আক্তার।
মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতপরিচয় ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে দাউদকান্দির শহিদনগর গুলিবিদ্ধ হয়ে স্কুলছাত্র রিফাত নিহতের ঘটনায় এ মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব চৌধুরী লীল মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন শিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি সালাউদ্দিন রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুন্দলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসলাম মিয়াজী, জেলা পরিষদ সদস্য নাসিম ইউসুফ রেইন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম নয়ন, বারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাজারুল ইসলাম মানিকসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর ও তাদের সহযোগী ৫০-৬০ জনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ শহিদনগর ইউপি কার্যালয়ের সামনে ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে গুলি করে। এতে রিফাতের বুকে গুলি লাগে। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুরে নেওয়া হয়। পরে কুমিল্লা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়া হলেও চিকিৎসায় অবহেলা করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। ওই দিন বাড়িতে নিয়ে এলে পরদিন (৫ আগস্ট) রিফাত মারা যায়।
উল্লেখ্য, রিফাত হত্যার ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট দশপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ফকির নামে জনৈক ব্যক্তি দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪৮ জনসহ অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে বাদিনী নিপা আক্তার আরজিতে উল্লেখ করেন, কতিপয় ব্যক্তি আব্দুর রাজ্জাক ফকির নামে জনৈক ব্যক্তিকে দিয়ে থানায় মামলা করিয়েছে। ওই ব্যক্তির আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই, তাকে আমি চিনিও না।
রোববার কুমিল্লা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে মামলার প্রথম বাদী আব্দুর রাজ্জাক ফকির বলেন, রিফাত আমার দুঃসম্পর্কের ভাগ্নে। আমি নিহত রিফাতের মা ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি এবং তাদের মৌখিক অনুমতিতে মামলার বাদী হয়েছি। তারা অনুমতি না দিলে আমি কেন বাদী হব?
