শেরপুরে বন্যায় ঘর হারানো মানুষের মানবেতর জীবন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এবারের বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ছয় হাজারের ওপরে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেক পরিবার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাটির ঘরে বসবাসকারী পরিবারগুলো। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় বন্যার তাণ্ডবের ক্ষতচিহ্ন ক্রমে ভেসে উঠছে। এখনো অনেক স্থানে ঘর থেকে বানের পানির নেমে গেলেও বাড়ির উঠান ও চার পাশে পানি থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় কাদায় পানিতে একাকার হয়ে থাকায় মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। এদিকে, নেত্রকোনায় একটি সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি সরে যাওয়ায় দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑ
শেরপুর : বৃষ্টি না হওয়ায় ও নদীর পানি কমে যাওয়ায় শেরপুরের ৫ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। স্থানীয় নদ-নদীর পানিও অনেক কমে গেছে। এদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ ও রান্না করা খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ৪ অক্টোবর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়। পরে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের আংশিক ও নকলা পৌরসভার আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়। বর্তমানে শেরপুর ও নকলার নিচু এলাকা থেকেও পানি নেমে যাচ্ছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান রোববার বিকাল ৩টায় জানান, নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর পানি কমে নালিতাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও নাকগাঁও পয়েন্টে ৪২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
নেত্রকোনা : বন্যায় নেত্রকোনার কলমাকান্দায় রংছাতি ইউনিয়নের নল্লাপাড়ায় রসুর (লইচ্ছা) সেতুটি উভয় পাশের সংযোগ সড়কের মাটি ধসে গেছে। ওপরে ঝুলে আছে শুধুমাত্র ঢালাই। এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহনসহ পথচারীরা। দ্রুত সংস্কার না করা হলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাহাড়ি ঢলের পানির তীব্র স্রোত ও প্রতিনিয়ত অবৈধ বালু বোঝাই ইঞ্জিনচালিত নৌকার ঢেউয়ে সেতুসহ নদ তীরবর্তী বসতভিটার মাটি ধসে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ভাঙন রোধে স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে বালুভর্তি বস্তা দিলেও কোনো কাজ হয়নি।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এসিল্যান্ড মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, কলমাকান্দা-পাঁচগাঁও সড়কের রসুর (লইচ্ছা) সেতুটি সংযোগ সড়ক অতিদ্রুত সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
