গাজীপুরের টঙ্গীতে এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে ছুটি না নিয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে বাসায় গিয়ে এ কাণ্ড ঘটায় বলে জানা গেছে।

মৃত ওই কিশোরীর নাম নওশিন আক্তার ঝুমা (১২)। সে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার উত্তর পালাহার গ্রামের নূরুল ইসলামের মেয়ে। ঝুমা টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় জনৈক বাদল মিয়ার ভাড়া বাড়িতে নানি রহিমা বেগমের সঙ্গে বাস করত।

টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই উৎপল কুমার কিশোরীর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঝুমা টঙ্গীর জহির মার্কেট এলাকার কমপ্লায়েন্স ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন লিমিটেড নামক প্রিন্টিং কারখানায় সহকারী হিসেবে কাজ করত। বৃহস্পতিবার সকালে কারখানায় কাজে যোগ দেয় ঝুমা। কিছুক্ষণ পর কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ তাকে ছুটি দেয়নি। একপর্যায়ে ছুটি না নিয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে বাসায় চলে যায় ঝুমা।

এ সময় নাতনিকে একা বাসায় রেখে নানি রহিমা বেগম খাবার সামগ্রী আনতে দোকানে যান। কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে এসে ওই কক্ষের সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুমার ঝুলন্ত নিথর দেহ দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজনদের ডাকেন। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পুলিশে খবর পাঠান। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

কমপ্লায়েন্স ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন লিমিটেড কারখানার ম্যানেজার হাবিব হোসেন বলেন, আমি কারখানায় ছিলাম না। ঝুমা সকালে কারখানায় কাজে যোগ দিয়ে কিছুক্ষণ পরেই ছুটি চায়। ছুটি দেওয়ার মতো দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউই ছিল না। কাউকে না জানিয়েই ঝুমা কারখানা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যুর খবর পাই আমরা।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কায়সার আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।