যশোর জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক জনি বহিষ্কার
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নিজ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে যশোর জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া কেশবপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের এক নম্বর ভান্ডরখোলা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি, জেলা বিএনপি ও যুবদল সূত্রে জানা গেছে, জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনি দীর্ঘদিন ধরে জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানাকে নিয়ে তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে আপত্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে পোস্ট করতেন। সম্প্রতি জনি জেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদককে ইঙ্গিত করে ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকাতে তারা সম্পদ গড়েছেন এমন পোস্ট করেন। যদিও নানা আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়ে জনি পোস্টটি ডিলিট করেন। এছাড়া রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর রাজনীতিক প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জনি আপত্তিকর পোস্ট করতেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রাজনীতিক প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেরুল হক সাবুর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় যুবদল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে যুবদল নেতা জনি মঙ্গলবার রাতে তার ব্যবহৃত ফেসবুকে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে পোস্ট করেছেন।
এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের এক নম্বর ভান্ডরখোলা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেনকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কেশবপুরের সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছি বাজারে মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মঞ্জুরের সমর্থক ও ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডে অভিযোগে আলমগীর হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেরুল হক সাবু বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে ছাড় নেই। কেন্দ্রীয় নির্দেশনাই রয়েছে বিএনপির অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের কোনো ব্যক্তি যদি এমন ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড করে তাহলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হবেন বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।
