জুলাই বিপ্লবে শহিদের সদ্যোজাত সন্তানের দায়িত্ব নিলেন ডিসি
ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে জুলাই বিপ্লবে শহিদ শাহজাহানের সদ্যোজাত পুত্রসন্তানের দায়িত্ব নিয়েছেন ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান।
শনিবার দুপুরে
ভোলার জেলা শহরের এশিয়ান ডক্টরস ক্লিনিকে শিশু ওমর ফারুক ও মা ফাতেহা বেগমকে ফুল, মিষ্টি
ও উপহার তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসক। এ সময় অভিভাবক হিসেবে শিশুটির পাশে
থাকার ঘোষণা দেন ডিসি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলার ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
শুক্রবার বিকালে
শহরের এশিয়া ডক্টরস পয়েন্টে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। তার
নাম রাখা হয়েছে ওমর ফারুক।
এদিকে শিশুর
জন্মের পর মা ফাতেহা বেগমের মুখে হাসি ফুটলেও সন্তানের বাবার কথা বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।
বাবার আদর্শে সন্তানকে বড় করার স্বপ্ন তার। ফাতেহা বেগমের বাড়ি ভোলার দৌলতখান উপজেলার
সৈয়দপুর ইউনিয়নের ছোটধলী গ্রামে।
মো. শাজাহান
ঢাকায় পাপুস বিক্রি করতেন। গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট
এলাকায় গুলিতে শহিদ হন তিনি। তখন তার স্ত্রীর গর্ভে ৪ মাসের অনাগত সন্তান।
এদিকে শহিদ
পরিবারের ওই নবজাতককে দেখতে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কদের নিয়ে ক্লিনিকে ছুটে যান ভোলার
জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান। শিশুর মাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো পাশাপাশি উপহার এবং
আর্থিক সহায়তা করেন তিনি।
এ সময় সাংবাদিকদের
ডিসি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ভোলায় ৪৬ জন শহিদ হয়েছেন। তার মধ্যে শাজাহান অন্যতম।
শুরু থেকেই আমরা শহিদ শাজাহানের অসুস্থ স্ত্রীর পাশে ছিলাম, জেলা প্রশাসন থেকে অনুদান
দেওয়া হয়েছে। এখন নবজাতকের দায়িত্ব আমরা নিয়েছি, তাদের পাশে থাকব। একই সঙ্গে সরকারের
সহযোগিতাও তাদের দেওয়া হবে।
ভোলার বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের সমন্ববয়ক রাহিম ইসলাম ও কামরুন নাহার এনি বলেন, শহিদ ভাইয়ের ছেলের
পাশে আমরা রয়েছি, ভবিষ্যতেও তাদের খোঁজখবর রাখব।
শিশু এবং তার
মায়ের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গাইনি চিকিৎসক ডা. আফরোজা বেগম বলেন, তাদের পর্যবেক্ষণ
করছি। আপাতত কোনো সমস্যা নেই।
