১৭ বছর পর রায়পুরে প্রকাশ্যে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা শাখার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ১৭ বছর পর খোলা ময়দানে প্রকাশ্যে আয়োজিত সম্মেলনে অসংখ্য কর্মীর জমায়েত দেখা গেছে।
শনিবার বিকালে রায়পুর পৌর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে পাইলট বালিকা বিদ্যালয় মাঠে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। দুপুর ২টা থেকে রায়পুর পৌরসভা বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কর্মীরা সম্মেলনে যোগ দেন।
রায়পুর পৌরসভা জামায়াতের আমির হাফেজ মাওলানা ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়া।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট আতিকুর রহমান, জেলা নায়েবে আমির এডভোকেট নাজীর আহমদ ভূঁইয়া, জেলা সহকারি সেক্রেটারি সরদার সৈয়দ আহমদ, রায়পুর উপজেলা আমির সাইয়্যেদ নাজমুল হুদা, উপজেলা সেক্রেটারিরী এডভোকেট আবদুল আউয়াল রাসেল, পৌর নায়েবে আমীর এডভোকেট কামাল উদ্দীন, সেক্রেটারী আশরাফুল ইসলাম রাকিব ও জামায়াতের কেরোয়া ইউপির আমির মো. ইউনুস প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এত বেশি ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর ঘটেনি। নব্বই বছরের বৃদ্ধ রাস্তায় আসেনি, বৃদ্ধদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত জঘন্যতম, নির্মমতা ও পৈশাচিকতা প্রদর্শন করেছে আওয়ামী লীগ। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে তাদের শাসনামলের সবচেয়ে নির্যাতিত-মজলুম দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ নেয়নি। কারণ জামায়াত এভাবে প্রতিশোধ গ্রহণ করবে না। আমরা এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই প্রতিশোধ নেব। আমরা জানমাল দিয়ে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করতে চাই। সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে, কারন ইসলামের কোন কথা নেই।
জামায়াত সূত্র জানায়, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের গুম-হত্যা ও নির্যাতনের কারণে লক্ষ্মীপুরে দলটি প্রকাশ্য কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারেনি। এ সময়ে গোপনেই সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার বিতাড়িত হওয়ার পর দেশে এখন একটা স্থিতিশীল নিরাপদ পরিবেশ বিরাজ করছে। এতে ১৭ বছর পর রায়পুর পৌর জামায়াতের প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
