ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ১ হাজার ১১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের ডিডি মো. মুস্তাফিজুর রহমান।

মামলায় ৩০ জন রয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর কার্যালয়ের ডিডি মো. নাজমুচ্ছদাত।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী (৪৯)। সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলম (৩৮), ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক ও চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন (৫৮), সাবেক নমিনী পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ (৬৭), পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ডা. তানভীর আহমদ (৩৮), পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য মো. কামরুল হাসান (৭৫), ইসি কমিটির সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক ও সদস্য ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর (৬৮), সাবেক পরিচালক ও সদস্য ড. মো. ফসিউল আলম (৭২), ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা (৬১), ইসি কমিটির সাবেক পরিচালক ও সদস্য জামাল মোস্তফা চৌধুরী (৬৬), ইসি কমিটির সদস্য আবু সাইদ মোহাম্মদ কাশেম (৩৯), সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সদস্য জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ (৫৪), সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আহবায়ক মুহাম্মদ কায়সার আলী (৫৭), ব্যাংকের বিনিয়োগ কমিটি-১ এর সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আলী (৬৭), সাবেক সিএইচআরও (ডিএমডি) ও সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী (৬২), এএমডি ও সদস্য আইসি-১ এর মো. আলতাফ হোসেন (৬১) ও সাবেক ডিএমডি মোহাম্মদ সাব্বির (৫২)।

মামলার এজাহারে বলা হয়- আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হওয়ার আশায় এবং অপরকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতি করে রেকর্ডপত্র সৃজনপূর্বক তা ব্যবহার করে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ এবং অপরাধজনক অসদাচরণের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, জুবলী রোড শাখা, ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। ইসলামী ব্যাংকে গত বছরের ২ অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যমান মুরাবাহা টিআর বিনিয়োগের মূল দায় ৯৯৩ কোটি ৭০ লাখ ২৩ হাজার ৪৭৮ টাকা ও এই টাকার মুনাফাসহ ১ হাজার ১১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৬৩ লাখ ৭৭৯ টাকা তারা তুলে নেয়।  এ টাকা আত্মসাৎ করে এবং আত্মসাৎকৃত অর্থের প্রকৃত উৎস ও প্রকৃতি গোপন করার জন্য স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং অপরাধ করে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।