Logo
Logo
×

সারাদেশ

মিলনমেলার নামে আওয়ামী ক্যাডারদের জড়ো হওয়ার চেষ্টা!

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৫ এএম

মিলনমেলার নামে আওয়ামী ক্যাডারদের জড়ো হওয়ার চেষ্টা!

মিলনমেলা নাম দিয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার নিষদ্ধি ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডার ও আওয়ামী সরকারের সহযোগীরা কক্সবাজারে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছেন। এজন্য তারা বেছে নিয়েছেন কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টের আলোচিত আবাসিক হোটেল ‘গ্রীন নেচার রিসোর্টকে'।

রিসোর্টটিতে তারা ইতোমধ্যে ৮৮ জনের নামে বুকিংও দিয়েছেন। এই রিসোর্টটি গেল ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমপি মামুনের মালিকানাধীন। শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এ ধরনের মিলনমেলার নামে গোপন সভার খবরে কক্সবাজারে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আলোচিত ওই রিসোর্টে কয়েক দিন আগেও নারীসংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে হৈচৈ হয়েছে।

খঁোজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২৫তম ব্যাচের নাম দিয়ে চিহ্নিত ছাত্রলীগের ক্যাডাররা আগামী ১০ জানুয়ারি ওই রিসোর্টে জড়ো হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ওইদিন শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসও। এই দিবসকে ঘিরে তারা একত্র হতে চাইছেন। এ ধরনের কর্মসূচির খবর জানাজানি হলে চবির ২৫তম ব্যাচের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, হঠাত্ করে এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজন নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশি্লষ্ট সূত্রমতে, আয়োজকদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রলীগের চিহ্নিত ক্যাডার ফজলুল হক টিপু, জহির উদ্দিন শামীম, এনামুল হক দীপু, আকরাম খান, শেখ কুতুবউদ্দিন, আশরাফ হোসেন, মহসিন সরকার, সাইফুল্লাহ শাহ, আবদুল কালাম আজাদ, লিটন পাল, পংকজ দত্ত, গোকুল কানি্ত ও মো. মোস্তাকিম। এরা পতিত হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী হিসাবে চিহ্নিত। বর্তমানে এরা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে জড়ো হওয়ার চষ্টো করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২৫তম ব্যাচের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী মাসে ২৫তম ব্যাচের বিশাল Èফ্যামিলি গেট টু গেদার রয়েছে। এর আগে এ ধরনের আয়োজন বিশেষ একটি দলের ক্যাডারদের জড়ো হওয়ার বিশেষ উদ্দেশ্য ছাড়া আর কিছু নয়।

গ্রীন নেচার রিসোর্ট অ্যান্ড সুইটসের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জাকির জানান, তাদের হোটেলে ওই বুকিং মূলত পারিবারিক মিলনমেলা। এখানে দোসরদের কেউ আসবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন আয়োজকরা।

তিনি জানান, হোটেলে ৬৩টি রুমের বুকিং দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কিছু বুকিং বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে ৪৫টি রুমের বুকিং রয়েছে। হোটেল সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা এই বুকিং দিয়েছিলেন। তিনিও বর্তমানে আওয়ামী সরকারের দোসর হিসাবে চাকরি থেকে দূরে রয়েছেন। জানাজানি হওয়ার পর তিনিও এই আয়োজনে আসছেন না।

সূত্রমতে, এই আয়োজনে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সাবেক ক্যাডারদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাদের না আসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আয়োজন নিয়েও সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ব্যাপারে পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে জেলা পুলিশে বিশেষ বার্তাও দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান জানান, এ ধরনের আয়োজনের কথা তিনি শুনেছেন। তবে শেষ মুহূর্তে তারা কর্মসূচি বাতিল করবে বলে পুলিশকে আশ্বস্ত করেছে বলে দাবি করেন তিনি। ওসি বলেন, অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের প্রোগ্রাম করলে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম