শুল্ক কমানোর দাবিতে নেওয়া হচ্ছে না ডেলিভারি
চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা ২৪০ কনটেইনার ফল

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম

ফাইল ছবি
শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সব ধরনের ফলমূল খালাস নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কোনো ধরনের ফলের কনটেইনার ডেলিভারি হয়নি। এ অবস্থায় চট্টগ্রামে ফলের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি ইয়ার্ডে আপেল, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের ২৪০টি কনটেইনার ছিল। যেখানে ৬ হাজার টনের মতো ফলমূল রয়েছে। আমদানিকারকরা ইনডেন্ট বা চাহিদাপত্র না দেওয়ায় ফলের কনটেইনার ডেলিভারি হয়নি।
চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম যুগান্তরকে বলেন, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ও পুষ্টিকর ফলকে বিলাসী পণ্য ঘোষণা দিয়ে শুল্ক প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এটি দুঃখজনক। এ সিদ্ধান্তের ফলে সবধরনের ফলমূলের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়বে।
ফলের ওপর অ্যাসেসমেন্ট ও এলসি ভেল্যু মিলে ১৩৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এই শুল্ক অর্ধেক করার দাবিতে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলন করছে। তিনি বলেন, আমরা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছি। দাবি আদায় না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রামে ফলমূল খালাস দুই দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছি। সরকার বা এনবিআর যদি দাবি না মানে তবে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সামনে পবিত্র রমজান মাস। সরকারের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের কারণে সাধারণ মানুষ ফলের স্বাদ নিতে পারবে না।