গলা কেটে মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে হত্যা

যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম

মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক মাদ্রাসা শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার ঠাকুরকান্দি গ্রাম থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিহত ওই শিক্ষিকার নাম সুমাইয়া আক্তার (৪০)। তিনি ঠাকুরকান্দি পশ্চিমপাড়া জবেদা খাতুন দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। তার স্বামীর নাম মোস্তাক আহমেদ। তিনি ঘিওরের বাইলজুরি বাজারে পোল্ট্রি ফিডের ব্যবসা করেন।
পুলিশের ধারণা, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সুমাইয়াকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, দাম্পত্যকলহের জেরে স্বামী মোস্তাক সুমাইয়াকে হত্যা করতে পারেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বাড়ির বাথরুমের সামনে সুমাইয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে মোস্তাক। প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে সুমাইয়েকে মৃত ঘোষণা করেন। মোস্তাক হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে স্ত্রীর নাম-ঠিকানা না লিখে ও পুলিশকে অভিহিত না করে লাশ নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। তখন বাড়ির উঠানে লাশটি দেখে তারা উদ্ধার করে। আর বুধবার ভোরে ময়নাতদন্তের জন্য ওই শিক্ষিকার লাশ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোস্তাক ও প্রতিবেশী বাপ্পিকে আটক করে।
ঘিওর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘ওই নারীর গলার একপাশে কাটা ছিল। প্রাথমিকভাকে ধারণা করা হচ্ছে, রক্তক্ষরণে ওই নারীর মৃত্যু হতে পারে। যথাযথ তদন্ত করে দ্রুত সময়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হবে।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে।’