দেড় লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেল ধর্ষক
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিশে ধর্ষককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন স্থানীয় মাতব্বররা।
অভিযুক্ত ধর্ষক সিএনজিচালক ফিরোজ মিয়া (৪৫)। তিনি উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের নওশের মিয়ার ছেলে।
শনিবার দুপুরে মির্জাপুর থানা পুলিশ ভুক্তভোগী শিশু ও তার মাকে থানায় নিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের একটি গ্রামে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মালেক, বাবুলসহ কয়েকজন মাতব্বর ঘটনার এক সপ্তাহ পর গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করেন। সালিশে ধর্ষক ফিরোজকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গ্রাম্য মাতাব্বরদের চাপে সালিশ মেনে নিলেও জরিমানার ৫৮ হাজার টাকা এখনো বাকি রয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী শিশু ও তার পরিবারের লোকজন ভয়ে মুখ না খুললেও এ ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ফিরোজ মিয়া ঘটনার দিন শিশুটির নানীর বাড়ির কাছে জমিতে সার দিচ্ছিল। শিশুটি ওই জমির কাছেই একটি বরই গাছ থেকে বরই পাড়ছিল। তখন ফিরোজ মিয়া শিশুটিকে ডেকে একটি টয়লেটের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের কথা কাউকে না বলার কথা বলে ভয়ভীতি দেখায়।
একই সঙ্গে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করা হয়। সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় শিশুটিকে। ফিরোজ শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার শব্দ শুনেছিলেন বলে জানান শিশুটির মা। ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে শিশুটি চুপচাপ থাকার কারণ জিজ্ঞেস করা হলেও কিছুই বলছিল না। বারবার জিজ্ঞেস করায় একপর্যায়ে কান্না করে পুরো ঘটনা মাকে খুলে বলে ভুক্তভোগী শিশু।
মির্জাপুর থানার মোশারফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষককে ধরতে শুক্রবার রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।
